পার্থ প্রতিম ঘোষ, হুগলি: খেলতে খেলতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। ২৪ ঘণ্টা পর হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বাড়ির কাছে শৌচালয় থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুর ঠাকুরদা-ঠাকুমা-জেঠিমাকে। এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, ওই শিশুকে খুন করেছে দাদু। 


তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, রগচটা দাদুর হাতে নাতি খুন হয়েছে ওই শিশু। গত শনিবার নাতির বায়না শুনে রেগে গিয়ে মুখ চেপে ধরে দাদু। শ্বাসরোধ হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে শিশু। গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে দেহ বস্তায় ভরা হয়। বস্তায় শিশুর দেহ ভরতে দাদুকে সাহায্য় করেছিলেন শিশুর ঠাকুমা, জেঠিমা। পুলিশের দাবি, শিশুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে তদন্ত বিভ্রান্ত করতে নানা গল্পের আশ্রয় নেন ৩ জন। রবিবার ভোরের দিকে পুলিশকে এড়িয়ে শৌচালয়ে দেহ রেখে আসা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ঠাকুমা একথা স্বীকার করেছে, দাদুর এ নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। অতীতে শিশুদের উপর আক্রমণ করার উদাহরণ আছে মূল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বলে দাবি পুলিশের। 


ঘটনা কী? 


স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল এলাকার বাসিন্দা ৫ বছরের ওই শিশু। খেলতে খেলতে হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায়। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও না মেলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে এলাকায় আসে গুপ্তিপাড়া ফাঁড়ি ও বলাগড় থানার পুলিশ। ওড়ানো হয় ড্রোন। রাতে আনা হয় স্নিফার ডগ, কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি শিশুর। এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর মোতায়েন করা হয় পুলিশবাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, এরই মধ্যে রবিবার সকালে বাড়ির পাশে এই শৌচাগারে নাতিকে পড়ে থাকতে দেখেন বলে দাবি করেন ঠাকুরদা। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন, চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুকে মুখে চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও জেঠিমার বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের আটক করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শিশুর মা-বাবার সঙ্গে ঠাকুরদা-ঠাকুমা-জেঠিমার সম্পর্ক ভাল ছিল না। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Hooghly News: ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশী