সৌরভ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, হুগলি: স্কুলের মধ্যে মারামারি, সহপাঠীর ঘুষিতে ছাত্রের মৃত্যু? দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তপ্ত হুগলির চাঁপদানি। অভিযোগ, বুকে ঘুষিতেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। 

ক্লাসরুম হোক কিংবা খেলার মাঠ সহপাঠীদের সঙ্গে খুনসুটি-লাফালাফি-ঝাঁপাঝাঁপি এটাই স্বাভাবিক ছবি। কিন্তু, সেই ইয়ার্কিই বদলে গেল মৃত্যু ফাঁদে। হুগলির একটি স্কুলে ইয়ার্কির ছলে সহপাঠীর বুকে সজোর ঘুষি। আর তাতেই মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্কুলেই মারামারিতে ছাত্রের মৃত্যুতে প্রধান শিক্ষকের দাবি , 'মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অন্য স্কুলে গিয়েছিলাম, ফিরে শুনলাম।' পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে মাঠে দৌড়োতে গিয়ে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নিহত ছাত্রের দিদির। ঘটনাচক্রে, সেও ছিল এই স্কুলেরই প্রাক্তনী। ৮ মাসের ব্যবধানে ফের সন্তান শোকে অকুল পাথারে পরিবার। ছাত্রের মৃত্যুতে দোষীর শাস্তি চেয়ে দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরের। 

এদিন ওই ছাত্রের বাবা বলেন "একটা ছেলের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। ওর বুকে খুব মেরেছে। আমার ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছে। স্কুল চলছিল সেই সময়ই এই ঝামেলা হয়েছে। শিক্ষকরা পড়াশোনা করান না। কী করে এটা হতে পারে? ওঁরাই এটার জন্য দায়ী। স্কুলের ছাত্ররা এসে জানায়। এসে দেখছি মারা গেছে। আমরা ইনসাফ চাইছি।'' বিতর্কের আবহে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, "আমি ছিলাম না সেই সময় স্কুলে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অন্য স্কুলে গিয়েছিলাম। এরকম ঘটনা এর আগে ঘটেনি। ১২:৫০ মিনিটে শিক্ষক বেরোনোর পর মারামারি করে। দরজার কাছেই ফাটাফাটি হল। ওই ছাত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষকরা দেখে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ডাক্তাররা জানায় মৃত্যু হয়েছে।''                                         

এদিকে মাঝরাতে হাওড়ায় রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন হুগলির IC. পুলিশ সূত্রে খবর, চণ্ডীতলা থানার IC-র সঙ্গে গাড়িতে এক মহিলাও ছিলেন। কেনাকাটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। এরপরই গুলি চলে। IC-র হাতে গুলি লাগে। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন IC? তা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গড়েছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। IC-র সঙ্গিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Murshidabad News: সরকারি হাসপাতালে গুন্ডামির অভিযোগ, পুলিশ পিটিয়ে ধৃত ওসি