সোমনাথ মিত্র, তারকেশ্বর : কলেজে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান ! একটি ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) ঘিরে এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির তারকেশ্বরে (Tarakeshwar)। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


এলাহি আয়োজন !  


কাঁসায় থালায় থরে থরে সাজানো খাবার। মাছ, মাংস, পাঁচ রকমের ভাজা, পায়েস, মিষ্টি। একেবারে এলাহি আয়োজন ! প্রদীপ জ্বেলে, ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই খাদ্য সম্ভার। খাবার ভর্তি থালার সামনে বসে এক ব্যক্তি, কিন্তু তাঁর মুখ দেখা যাচ্ছে না। ৩১ সেকেন্ডের এই ছোট্ট ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে হুগলির তারকেশ্বরে। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


তারকেশ্বর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান স্বপন সামন্ত। তাঁর ছেলে অর্ণব সামন্ত তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের ল্য়াবকর্মী।বিজেপির অভিযোগ, সম্প্রতি তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজে বসেছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের আইবুড়ো ভাতের আসর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৭ জানুয়ারি অর্ণবের বিয়ে। তারকেশ্বরের বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, অর্ণব সামন্ত যেহেতু তৃণমূল নেতার ছেলে তাই কলেজে রাজতন্ত্র চালাচ্ছে। প্রিন্সিপ্যাল ও অর্ণবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অমলকান্তি ঘাটি বলেন, কলেজের তরফে কোনও আয়োজন করা হয়নি। বন্ধু সহকর্মীরাই স্টাফ ক্যান্টিনে খাইয়েছে। এতে দোষের কিছু দেখছি না।

আইবুড়ো ভাতের কথা মুখে না বললেও, কলেজে খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, যা হয়েছে তার সবটাই কলেজ ক্যান্টিনে। ভিডিও ভাইরাল করার জন্য় বিজেপি ও দলেরই একাংশকে দায়ী করেছেন তিনি।


তারকেশ্বরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সামন্ত বলেন, অনুষ্ঠানটা কলেজ ক্যান্টিনে হয়েছে। ক্যান্টিনে ওরকম ছোটখাটো খাওয়া দাওয়া হয় শিক্ষক বা কর্মীদের ফেয়ারওয়েলেও। আমার ছেলের অজান্তেই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। তৃণমূল নেতার ছেলে বলেই কী দোষ হয়ে গেল। দলেরই কেউ এর পিছনে আছে। বিজেপিকে দিয়ে এটা ভাইরাল করে প্রচার করছে।

তৃণমূল কাউন্সিলর এর মধ্যে দোষের কিছু না দেখলেও, উল্টো সুর শোনা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, আমি ভিডিওটা দেখিনি। তবে এই ধরনের মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান বাড়িতে বা মন্দিরে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এগুলো হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

সব মিলিয়ে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।