সোমনাথ মিত্র, হুগলি:  এক করোনায় (Covid-19) রক্ষে নেই। তার উপর বৃষ্টির (Rainfall) ভ্রূকূটি। তাতে ঘুম উড়েছে হুগলির কৃষকদের (Potato Farmers)। এমন পরিস্থিতিতে, বৃষ্টির হাত থেকে ফসল কী ভাবে বাঁচানো যায়, তা কৃষকদের বোঝাতে উদ্যোগী হল রাজ্য কৃষি দফতর (West Bengal Agriculture Department)। মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি ফসল রক্ষায় কী কী করণীয়, তা ধরে ধরে কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে। লিফলেট বিলি করেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্য।


জাওয়াদের কারণে এমনিতেই এক মাস পিছিয়ে গেছে হুগলির  আলু চাষ। প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তার উপর চড়া দামে সার, বীজ কিনে আলু বসানোর কাজ শুরু করতে হয়েছে। তাতে কার্যত দিশাহারা অবস্থা হুগলির কৃষকদের। তারই মধ্যে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাতেই ঘুম উড়েছে কৃষকদের।


আরও পড়ুন: SSC News: নিয়োগে ভুল, এসএসসি চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের


কৃষকরা জানিয়েছেন, গতবছর প্রকৃতির খামখেয়ালিতে এমনিতেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির জলে আলু চাষ নষ্ট হয়েছে। সেই জল শুকিয়ে নতুন করে আলু বসাতে গিয়ে এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে চাষের কাজ। এখনও শেষ হয়নি, এই মুহূর্তেও আলু বসানোর কাজ চলছে। কারণ মাটি ভিজে থাকায় অনেক জমিতেই দেরি করে চাষের কাজে হাত দিতে হয়েছে। তার মধ্যে ফের বৃষ্টি নামলে কিছুই রক্ষা করা যাবে না।তাই দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনিয়ে এসেছে সর্বত্র।


রাজ্য কৃষি দফতর থেকে যদিও হুগলির সিঙ্গুর, হরিপাল, জাঙ্গীপাড়া-সহ বিভিন্ন ব্লকের কৃষি প্রধান এলাকায় মাইকিং প্রচার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে আলু কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। সেই সঙ্গে বৃষ্টিজনিত কারণে ফসলের উপর ছত্রাক বা পোকার উৎপাত হলে কী ধরনের কীটনাশক, কত পরিমানে দিতে হবে, তা-ও প্রচার করা হচ্ছে কৃষি দফতর থেকে। কিন্তু এ সব করে বৃষ্টির প্রকোপ থেকে ফসলকে কতটা বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান কৃষকরা।