কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Recruitment Scam ) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( Shantanu Banerjee ) আজ ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি ( ED ) । তার আগেই শান্তনু সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনছে ইডি। ইডির দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে ধৃতর উত্থান চমকপ্রদ।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সামান্য একজন মোবাইল ফোনের দোকানদার। তার থেকে রকেটের গতিতে উত্থান শুরু । ইডির দাবি অনুসারে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্য়াট, রিসর্ট, গেস্ট হাউস, ধাবা, বাংলোর পরে মিলেছে আরও ফ্ল্যাট এবং ৭০ লাখি বাড়িতে প্রোমোটিং-এর পরিকল্পনার তথ্যও! জানা যাচ্ছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ জগন্নাথ ঘাটে একটি দোতলা বাড়ি ৭০ লাখে কিনে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল শান্তনুর। ইভান ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামে এই বাড়ি কেনার পথে এগিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা, অগ্রিম বাবদ ১৫ লক্ষ টাকাও দেন বলে দাবি বাড়ির মালিকের।
যত সময় গড়াচ্ছে, ততই যেন দীর্ঘ হচ্ছে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তি! চুঁচুড়ারই পিপুলপাতির জগুদাসপাড়াতেও শান্তনুর রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্য়াট। সেখান থেকে আধঘণ্টার দূরত্বে ব্যান্ডেলের শরৎ সরণিতে গাছালিতে ঘেরা ধবধবে এক দোতলা বাংলোটির মালিকও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলোটি স্ত্রীর নামে কিনেছিলেন শান্তনু, খবর স্থানীয় সূত্রে । শনিবার, হুগলির বলাগড় ও চন্দননগরের পর রবিবার যুব তৃণমূল নেতার সম্পত্তির তালিকায় যুক্ত হল চুঁচুড়াও।
কীভাবে সামান্য একজন মোবাইল ফোনের দোকানদার থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রকেটের গতিতে উত্থান ঘটল - তা কৌতুহল জাগিয়েছে সবার মনে! হুগলি-জুড়ে শান্তনুর 'সাম্রাজ্য়' , কোথা থেকে এল কোটি কোটি টাকা?
গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে, ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার করেছিল ED। কেন্দ্রীয় এই এজেন্সি সূত্রের আরও দাবি, শুধু, ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়াই নয়, শান্তনুর বাড়ি থেকে সরকারি কর্মীদের বদলির সুপারিশের চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পৌঁছে দিতেন কুন্তল ঘোষ। আদালতে দেওয়া রিমান্ড লেটারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ED। তাদের আরও দাবি, জেরা শান্তনু স্বীকার করেছেন, স্কুলের চাকরি পেতে তৃণমূলের অনেক নেতার হাতে, নথি পৌঁছে দিতেন দলেরই নিচুনতলার সদস্যরা। ইডি সূত্রে দাবি, জেরার মুখে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, স্কুলে চাকরি বিক্রিতে জড়িত ছিলেন তৃণমূলের অনেক নেতাই! কিন্তু, সেই সমস্ত নেতারা কারা? উত্তর দেবে কি সময় ?