সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলিঃ পুকুর ভরাট রুখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পরে মারমুখি চেয়ারম্যান! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ষোলো নম্বর ওয়ার্ডের পিয়ারাবাগান এলাকায় একটি জলাশয় ভরাটের অভিযোগ পেয়ে সেখানে হাজির হন পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। জলাশয়ের সীমানায় পাঁচিল গাঁথার কাজ চলছিল সেই সময়। তা দেখেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করতে বলেন। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। স্থানীয় যারা আপত্তি করেছিল তাদের সঙ্গে যারা পাঁচিল দিচ্ছিল তারা শরীক। দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। চেয়ারম্যান তাদের জানান আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে। পুলিশ, মহকুমা শাসক এবং জেলা শাসককে জানানো হবে।এর পরেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে হতে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। চেয়ারম্যানকে দেখা যায় তেরে যেতে। যদিও বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি।
রাজ্য়ের অন্য় প্রান্তে একটি ঘটনায বিজেপি (BJP) নেতার অভিযোগের ভিত্তিতেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। এই সন্দেহের বশে বিজেপি নেতাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল (TMC) কর্মী। দিকে দিকে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তার মধ্যেই এবার, বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে- এই সন্দেহের বশে বিজেপি নেতাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভাইরাল হয়েছে বিজেপি নেতা ও তৃণমূল কর্মীর বচসার ভিডিও। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেগঙ্গা থানায় (Deganga Police Station) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মীর পাল্টা দাবি, কাটমানি চেয়েছেন বিজেপি নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেছেন, 'নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে। সেখানে তৃণমূল কর্মীর কাছ থেকে বিজেপি নেতা টাকা চাইবে এটা হাস্যকর ব্যাপার। কারণ নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতারা স্বজন পোষণ করে কেন্দ্র প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টির উপরে হুমকি আসছে। আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই।'