সোমনাথ মিত্র, খানাকুল (হুগলি) : তাঁর হারিয়ে যাওয়া সোনার ব্রেসলেট নাকি কুড়িয়ে পেয়েছেন মহিলা ! সেই সন্দেহে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানবিক অত্যাচার, মারধর এমনকী চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক SI-এর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত গৃহবধূ একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন । এদিকে ঘটনার পর খানাকুল থানার অন্তর্গত মালঞ্চ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযুক্ত এসআই তুষার মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল থানার মালঞ্চ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তুষার মণ্ডলের একটি সোনার ব্রেসলেট হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্ৰামের এক গৃহবধূকে কয়েকদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ ফাঁড়িতে তাঁকে মারধর করা থেকে অমানবিক অত্যাচার করা হয়। এমনকী তাঁর চোঁখে লঙ্কার গুঁড়োও ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি নির্যাতিতার। সারাদিন পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রেখে রাতে ওই মহিলাকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, তাঁর হাতে ১০০০ টাকা ধরিয়ে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর নির্যাতিতা গুরুতর অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই খবর জানাজানি হবার পরেই গতকাল মালঞ্চ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্ৰামবাসী। লাঠি হাতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে সরব হন গ্ৰামবাসী।


নির্যাতিতার বক্তব্য, দুপুর ২ টোয় নিয়ে গিয়ে মধ্যরাতে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়িতেও মারধর করেছে। চোঁখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর মাঝরাতে বাড়িতে ছাড়ার সময় হাতে ১ হাজার টাকা হাতে দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে নিতে বলেন এই পুলিশ অফিসার।


এপ্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তও হবে। সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক তুষার মণ্ডলকে।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে