সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: পুজো মিটতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিঙ্গুরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ হুগলি জেলার ১২টি ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা ও ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপরই শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশের তরফে বিভিন্ন এলাকায় চলছে নজরদারি। মাস্ক না পরলে মিলছে কড়া ধমক। ব্লক প্রশাসনের তরফে এলাকায় ঘুরে চলছে মাইকে প্রচার।
সিঙ্গুর ব্লকের তিনটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত, তারকেশ্বর ব্লকের দুটি, হরিপাল ব্লকের ২টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত সহ হুগলি জেলার ১২টি ব্লকের বেশ কিছু পঞ্চায়েত এবং জেলার ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষণা করার পর করোনা প্রতিরোধে কড়াকড়ি শুরু করল প্রশাসন।
ইতিমধ্যে এই সব এলাকায় করোনা সংক্রমণ রুখতে মাইকের মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি সদর্থক ভূমিকা গ্ৰহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।
সিঙ্গুর ব্লকের কেজিডি, আনন্দনগর, বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েত, হরিপালের নালিকুল পূর্ব ও আশুতোষ পঞ্চায়েত, তারকেশ্বরের তালপুর ও বালিগুড়ি-১ পঞ্চায়েত এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লক প্রশাসন থেকে মাইক করে প্রচার করা হচ্ছে। মানুষকে করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
করোনা পজিটিভ ব্যক্তি ও পরিবারকে হোম আইসোলশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে বাইরে বের হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে পজিটিভ রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন এলাকায় স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি যাঁদের এখনও ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মালিক জানান, তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষনা করার পরেই এলাকায় করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলতে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ব্লকের সর্বত্র যাতে বিধিনিষেধ আরও কড়াকড়ি করা যায় তার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।