সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: না ছুঁয়েই হবে স্যানিটাইজেশন। টাচ ফ্রি পোর্টেবল অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজিং সিস্টেম তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির চুঁচুড়ার নবম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞানকিশোর দাস। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের থেকে পেটেন্টও পেয়েছে সে। করোনা আবহে এই সৃষ্টি মানুষের কাজে লাগুক, চাইছে ছাত্র ও তার পরিবার।
ছোট্ট একটা যন্ত্র। সহজেই নিয়ে যাওয়া যাবে এদিক-ওদিক। আর সেই যন্ত্র দিয়েই হবে স্যানিটাইজেশন, কোনও স্পর্শ ছাড়াই। টাচ ফ্রি পোর্টেবল অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজিং সিস্টেম। করোনা আবহে সংস্পর্শ এড়ানো বা স্যানিটাইজেশন যখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তখন এমন এক যন্ত্র তৈরি করে সাড়া ফেলেছে হুগলির চুঁচুড়ার অভিজ্ঞানকিশোর দাস।
হুগলি কলিজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছে পেটেন্ট। টাচ ফ্রি স্যানিটাইজিং মেশিন তো অনেক আছে। তাহলে এর বিশেষত্ব কী? অভিজ্ঞানের দাবি, তার এই মেশিন একদম হাল্কা, ছোট এবং পোর্টেবল। দামও কম হবে। যে কেউ সহজে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। মূলত ডাক্তার, নার্সদের বিশেষ সুবিধে হবে।
আগামী দিনে এই যন্ত্র বাজারে আসুক। মানুষের কাজে লাগুক, চাইছেন ছাত্রের মা। তিনি বলেন, "পেটেন্ট পেয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হোক। মানুষের সুবিধায় লাগুক এটাই বড় কথা"। দু’বছর ধরে করোনা অতিমারী বিশ্বজুড়ে। তারওপর মাথাব্যাথা বাড়িয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার ব্যবহারে ছোঁয়া এড়াতেই নতুন ভাবনা ছাত্রের।
এদিকে, সংক্রমণ বাড়লে ফের স্কুল বন্ধের (School Close) ভাবনা রাজ্যে (West Bengal)। গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Chief Minister Mamata Banerjee)। এদিন শিক্ষাসচিবকে পরিস্থিতি পর্যালোচনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার পাশাপাশি, রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিদেশে না গিয়েও সংক্রমিত আরও চারজন। রাজ্যে নতুন করে পাঁচজন ওমিক্রন পজিটিভ। এদের মধ্যে একজনের বিদেশ যাত্রার রেকর্ড থাকলেও, বাকি চারজন বিদেশে যাননি। এই চারজনের মধ্যে ২ জন কলকাতার, বাকি ২ জন দমদম ও হাওড়ার বাসিন্দা।