সোমনাথ মিত্র, হুগলি: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ (U19 Womens Indian Cricket Team) জয়ী দলের সদস্য। ফাইনালে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এখানেই সবকিছু শেষ নয়। বরং আরও এগিয়ে যেতে হবে। তাই মেয়ের যাতে সাফল্যে মাথা ঘুরিয়ে না যায়, তাই সতর্ক অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট (U19 Indian Womens Cricket Team) দলের সদস্য তিতাস সাধুর (Titash Sadhu) বাবা রণদীপ সাধু। তিতাসের বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিতাসের বাবা বলছেন, ''অ্যাসোসিয়েশনের যারা লোক তাঁরা জানেন কতটা কঠিন পরিশ্রম করেছে তিতাস। সেই পরিশ্রমের ফল ও পেয়েছে। আগামী দিনে পথ চলা আরও কঠিন, তাই পরিশ্রম ওকে করে যেতে হবে। কারণ ওর প্রতি সবার চাহিদা থাকবে,  এত বড় দেশের একটা চাহিদা থাকবে। সবদিন তো আর ভালো যাবে না, বাজে সময় ও যাবে। তাই ভালো সময়ে যেমন সবাই পাশে থাকেন, খারাপ সময়েও মন শক্ত রাখতে হবে। কারণ খেলোয়ারদের জীবন এরকমই হয়।''


মেয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ফাইনালে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। কিন্তু মেয়ের এই সাফল্যে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন তিতাসের বাবা। তিনি বলছেন মেয়েকে আরও কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। এদিন চুঁচুড়ায় তিতাস সাধুর বাড়িতে যান ধনিয়াখালীর বিধায়ক তথা হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্ৰেসের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র, চাঁপদানির বিধায়ক তথা তৃৃণমূল জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, জেলা যুব তৃণমূল সভানেত্রী রুনা খাতুন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী, চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়রা সহ অন্যান‌রা। তাঁদের সামনেই এই কথা বললেন তিতাসের পিতা রণদীপ।।


তিতাস বাড়ি ফিরলে তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পরিবারের সদস্যদের জানান তৃণমুল নেতা নেত্রীরা। ঘরের কাছে এত প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড় আছেন, তা জেনে সবাই তিতাসের বাবাকে সাধুবাদ জানান। চুঁচুড়ার বিধায়ক বলেন তিতাস আমাদের গর্ব।



   বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন,তিতাস শুধু হুগলি জেলা নয়,রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।তার এই সাফল্যের পিছনে তার বাবা মায়ের অবদান আছে।তিতাস এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি।তাই তার বাবা মাকে আমরা শুভেচ্ছা জানালাম।পরে তিতাস ফিরলে আবার তাকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।


    তিতাসের মা ভ্রমর সাধু বলেন,আমি খুশি তিতাসের সাফল্যে।তবে সবে শুরু করেছে।আগমীতে এখনো অনেক পথ বাকি। মাটিতে থেকে যেন ওর খেলা চালিয়ে যেতে পারে।