সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেওয়া হল হুগলি (Hooghly) জেলাপরিষদের অধীনে থাকা চার পর্যটন কেন্দ্র। খুলল সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত নিউ দিঘা । এছাড়াও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দরজা খুলল পোলবার সুয়াখাল পর্যটন কেন্দ্রের। এখন সকলে যেতে পারবেন খানাকুলের রাজা রামমোহন পর্যটন কেন্দ্র, গোঘাটের গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্রেও। বুধবার এই চার পর্যটন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধারণের জন্য খুলে দেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান।
নিউ দিঘা (New Digha)পর্যটন কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কৃষি সেচ কর্মাধ্যক্ষ সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী, সহ জেলাপরিষদের আধিকারিকরা। এদিন সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, করোনাকালে গত বছর মার্চ মাস থেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। পর্যটন কেন্দ্র খোলার চার দিন আগে থেকেই ভিতরে স্যানেটাইজেশনের কাজ চালানো হয়েছে। বসার জায়গা থেকে শুরু করে শিশুদের বিনোদন পার্কের সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
এদিন পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও পার্কে ঢোকার ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একটানা পর্যটন কেন্দ্র গুলি বন্ধ থাকলেও ভেতরে নিয়মিত পরিচর্যার কাজ চলেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে পুনরায় তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা আবহে দীর্ঘদিন, পর্যটকের মুখ দেখেনি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর উত্তরবঙ্গ। তবে, বর্তমানে সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায়, অনেকেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন পাহাড়ের উদ্দেশে। NJP তে নেমে কারও গন্তব্য দার্জিলিং... কারও আবার ডুয়ার্স। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের পর্যটনশিল্পকে চাঙ্গা করতে টয় ট্রেনকে হাতিয়ার করছে হিমালয়ান রেল। NJP থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন, NJP থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত স্পেশাল ভিস্তা ডোমের পর, এবার, শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত চালু হল টয় ট্রেন পরিষেবা।
২০১৮ সালে শুরু হয় ট্রেনে চড়ে এই জঙ্গল সাফারি। কিন্তু বেশ কিছু কারণে ওই বছরই তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই হানা দেয় করোনা মহামারী। অবশেষে, সোমবার থেকে ফের চালু হয়েছে পরিষেবা। স্টিম ইঞ্জিনে চেপে পাহাড় ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে যাত্রা। দুপাশে চা-বাগানের সবুজ গালিচা... পথে পড়বে, একাধিক রূপোলি নদী। কামরায় মাথার ওপর খোলা আকাশ...আশপাশও কাচের। সুসজ্জিত কামরায় বসেই, জানলা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকরা।