সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর : সাঁতরাগাছি ব্রিজ (Santragachi Bridge) মেরামতির জন্য যান চলাচলের একাধিক বিধি-নিষেধ। এই মর্মে হুগলি (Hooghly) জেলা গ্রামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়কের ধারে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হল নির্দেশিকা। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে পুলিশি নজরদারি। কলকাতামুখী যানবাহনকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে। ফলে, চরম সমস্যা ট্রাক চালকরা।


কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায় ?


হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে লাগানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে , কলকাতাগামী ভারী যানবাহনকে নিবেদিতা সেতু দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিবেদিতা সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।


হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা সিঙ্গুর সহ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে চলছে পুলিশি নজরদারি। ডানকুনি থেকে গুড়াপ অবধি জাতীয় সড়কের বেশিরভাগটাই পড়ে হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশের অধীনে। ফলে সেই রাস্তার মধ্যে চণ্ডীতলার কাপাস হাঁড়িয়া, সিঙ্গুরের রতনপুর মোড় ও সিংহের ভেড়ি, দাদপুরের মহেশ্বরপুর মোড়, গুড়াপের কংসারীপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতামুখী ভারী যানবাহনগুলিকে। শুধুমাত্র রাতের  নির্দিষ্ট সময়েই তাদের যাতায়াত করতে দেওয়া হবে। তাও আবার  নিবেদিতা সেতু দিয়ে। ফলে, রাস্তার ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক চালকরা। পড়তে হচ্ছে ক্ষতি‌র মুখে।


বীরভূম থেকে কলকাতার বাটা নগর অবধি বড় লরি করে বালি নিয়ে যাচ্ছেন চালক সাইদুল । তিনি জানান , আগে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগত মাল নিয়ে যেতে । কিন্তু সাঁতরাগাছিতে কাজের জন্য নো এন্ট্রিতে দাঁড়িয়ে আছি। গতকাল মাল লোড করার পর সারাদিন নো এন্ট্রিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আজ সিঙ্গুর অবধি এসে আবার দাঁড়িয়ে গেছি। ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। আগে দিনে একবার যাতায়াত  হয়ে যেত, কিন্তু এখন তিন -চারদিনে একটা টিপ হবে। ফলে প্রচুর ক্ষতি। গাড়ির কিস্তি শোধ করা যাবে না। যে পয়সা পাচ্ছি তার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই খেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।


বিকানের থেকে ডাল নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছেন গাড়ি চালক রাম চন্দ্র । সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, ভোর পাঁচটা থেকে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে। বলছে সেতু খারাপ। কখন ছাড়বে জানি না। আমারও ক্ষতি, মালিকেরও ক্ষতি দেরিতে মাল যাওয়ার জন্য।