সোমনাথ মিত্র, হুগলি: অফিস টাইমে হাওড়া-গোঘাট শাখার নসিবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ। আটকে পড়ে আপ আরামবাগ লোকাল ও ডাউন তারকেশ্বর-হাওড়া লোকাল। ভোগান্তির শিকার অন্য যাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরে ভোরবেলার দুটি ডাউন ট্রেন চলছে না। পরের ট্রেনগুলিও নির্ধারিত সময়ে না আসায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিন সকাল ৬টা ২০ থেকে নসিবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন নিত্য যাত্রীদের একাংশ। ঘটনাস্থলে আরপিএফ, জিআরপি ও সিঙ্গুর থানার পুলিশ।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর মেন শাখায় নলপুর স্টেশনে রেল অবরোধে ভোগান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সেখানে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। এর ফলে আপ ও ডাউন লাইনে আটকে পড়ে ১৭টি লোকাল, ৫টি মেল এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে আটকে পড়ে ইস্পাত এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ও সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস। ডাউন লাইনে আটকে পড়ে জগন্নাথ এক্সপ্রেস। রেল পুলিশের আশ্বাসে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে অবরোধ ওঠে। আড়াই ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলায় ভোগান্তির শিকার হন অন্য যাত্রীরা।এদিন সেই একই চিত্র দেখা গেল হাওড়ার এই লাইনে।
অন্যদিকে, হুগলির পড়শি জেলা হাওড়ায় আজ সকাল সকাল আগুন লাগা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল। এদিন সকালে নবান্নর কাছে আগুন লাগে। ভোর ৪টে নাগাদ শিবপুর থানা এলাকার মনসাতলায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের নীচে ঘুঁটের স্তূপে আগুন লেগে যায় বলে জানা যায়। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিনের মিনিট চল্লিশের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিড়ি বা সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো থেকেই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। মাসকয়েক আগে একই জায়গায় একটি সরকারি অফিসের পিছনে খড়ের গাদায় আগুন লাগে।