সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: সিঙ্গুরের সন্ন‍্যাসীঘাটায় মেট্রো ডেয়ারীর কালেকশন সেন্টারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি এক ভেজাল দুধকারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বলাগড় থেকে দীর্ঘদিন ভেজাল দুধ সাপ্লাই হত সিঙ্গুরের এই কালেকশন সেন্টারে, সেই দুধ চলে যেত কোম্পানীর কাছে বাজারজাত করার জন‍্য। ঘটনায় কালেকশন সেন্টারের ম‍্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। কিছু মেশিন পত্র সহ সংস্থার নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।আপাতত দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক‍রা।     


জানা গিয়েছে বলাগড় থেকে দীর্ঘদিন ভেজাল দুধ সাপ্লাই হত সিঙ্গুরের এই কালেকশন সেন্টারে, সেই দুধ চলে যেত কোম্পানীর কাছে বাজারজাত করার জন‍্য, দাবি ডিএসপি অফ ডিইপি নিমাই চৌধুরীর। ভেজাল দুধ কেনা এবং  তা কোম্পানীর কাছে পাঠাবার জন‍্য কালেকশন সেন্টার থেকে ম‍্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। আপাতত দুধ নেওয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক‍রা।। 


উল্লেখ‍্য কয়েকদিন আগে হুগলির বলাগড় থেকে ভেজাল দুধ তৈরীর একটি চক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ । শুভাশিস ঘোষ নামে একজনকে ভেজাল দুধে তৈরীর জন‍্য গ্ৰেফতার করে হুগলি রুরালের ডিস্ট্রিক এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ঘটনায় গ্ৰেপ্তার হওয়া শুভাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত দীর্ঘদিন সিঙ্গুরের সন্ন‍্যাসীঘাটায় দুধ সরবরাহ করত। সেই অনুযায়ী অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ হানা দেয় সিঙ্গুরের দুধ কালেকশন সেন্টারটিতে । তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে শুভাশিসের কাছ থেকে কালেকশন সেন্টারটি দীর্ঘদিন দুধ কিনত। কোনও দিন ১০০০, কোন দিনও ১২০০ লিটার অবধি দুধ বিক্রি করতেন এই কালেকশন সেন্টারে।  সেই ভেজাল দুধ কেনার জন‍্যই পুলিশ কালেকশন সেন্টারের ম‍্যানেজার দীপঙ্কর ডোকাল নামে এক ব‍্যক্তিকে আটক করেছে। কিছু মেশিন পত্র সহ সংস্থার নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতত সংস্থার কর্মীদের দুধ সংগ্ৰহ করতে নিষেধ করেছে আধিকারিকরা।। 


হুগলী রুরালের ডিএসপি নিমাই চৌধুরী জানান, এই ঘটনায়  অভিযুক্তের জড়িত থাকার কারণ দেখছে প্রাথমিকভাবে। কারণ ভেজাল দুধ নেবার পর মেশিন থাকা সত্ত্বেও তা পরীক্ষা করা হতো না। যে ম‍্যানেজার ছিল তাঁরই দায়িত্ব ছিল।এটা নেবার সময় বা নেবার পর সেটা টেস্ট করা ,সেটা সে করত না বলেই দাবি। ম‍্যানেজার ব‍্যাপারটা  জানত অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে টেস্ট করতো না।  বেশ কিছু মেশিন , পারচেস রেজিস্টার সহ প্রয়োজনীয় উপাদান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 


কালেকশন সেন্টারের এক কর্মী রাজকুমার দাশমন্ডল জানান, আমরা বিষয়টা জানি না। আমরা দুধ ঢালা, মাজা, পরিষ্কার করার কাজ করি। চেকিং করার আলাদা লোক আছে। যারা চেক করে তারাই  বিষয়টা বলতে পারবে।