সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যা, হুগলি : শহর কলকাতা থেকে জেলা হওড়ায় পৌঁছে গেছে মেট্রো রেল। এবার কি গন্তব্য হুগলি ? এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায়। গতকাল হুগলির জেলাশাসক মু্ক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকা উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করন রচনা। সেখানেই মেট্রো নিয়ে আলোচনা হয়।


বৈঠক শেষে রচনা বলেন, 'মেট্রোটা যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি মানুষের ভীষণ উপকার হয়। সেটা নিয়ে চিঠিপত্র চলছে। একটা বড় ব্যাপার। এটা কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হল। ডিএম বলেছেন তা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আমি চিঠি দিয়েছিলাম। উনি তার রিপ্লাই দিয়েছেন। সেটা সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কীভাবে এগোনো যায় সেটা দেখছেন। জমি অধিগ্রহণের বিষয় থাকলে এটাও দেখতে হবে কোথায় কীভাবে এগোনো যায়।'


তিনি আরও বলেন, 'এটা তো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর -হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরাপুরে রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব মানুষের জন্য। যেটা কেন্দ্রের হাতে তারা যদি একটু দয়াশীল হন। দয়া দেখান, তাহলে আমরা লড়তে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি এ বিষয়ে। মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই। সংসদে দেখা হয় কিন্তু কথা হয় না। কথা বলতে গেলে ৫০০ জন সংসদ আছেন। লটারিতে কার নাম উঠবে সেটা কপালের ব্যাপার। আমার যেমন একবার সুযোগ হয়েছিল বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে বলেছি। আবার চেষ্টা করছি সুযোগ পেলেই মেট্রো নিয়ে মানুষের অন্যান্য দাবি নিয়ে বলব। সব থেকে প্লাস পয়েন্ট যেটা সংসদে আওয়াজ তুলতে না পারলেও চিঠির মাধ্যমে বলা যায়। তার উত্তরও পাওয়া যায়।'


এছাড়াও আরএ একটা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বলে জানান রচনা। তিনি বলেন, 'যাঁরা আজমেঢ় শরিফ যান তাঁদের জন্য ব্যান্ডেলে একটা যদি ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়। ব্যান্ডেল থেকে এরজন্য কোনও ট্রেন নেই। তাঁদের বর্ধমান নাহলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়। চেষ্টা করছি যাঁরা আজমেঢ় শরিফ যেতে চান তাঁদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়।'


রচনার সংযোজন, 'এছাড়াও এলাকার উন্নয়নের কাজ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। মানকুণ্ডুতে মানসিক হাসপাতালে, ধনিয়াখালি হাসপাতালে কাজ চলছে। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসকের একটা সমস্যা আছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যাতে কিছু ভালো যোগ্য চিকিৎসক যাঁরা আছেন তাঁরা শুধু শহর কেন্দ্রিক না ভেবে জেলা নিয়ে ভাবেন। এদের মধ্যে অনেক ডাক্তার আছেন যাঁরা খুবই ভালো। তাঁরা যদি শহরে চলে যান গ্রাম ছেড়ে তাহলে গ্রামের লোকদের কে দেখবে। তাই আমি চাই ভালো ভালো ডাক্তাররা আসুক গ্রামের হাসপাতালে। বড় বড় হাসপাতালগুলি আমরা তৈরি করছি। সেবাই যদি না দিতে পারি তাহলে কলকাতা ছুটতে হয়। রাস্তাতে অনেক অঘটন ঘটে যাচ্ছে।'