কলকাতা: আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিবস। আবার এ বছরই স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগোয় ঐতিহাসিক বক্তৃতার পর দেশে ফেরার ১২৫ বছর। বাংলা তথা ভারতের এই দুই মহান ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অভিনব উদ্যোগ কলকাতার একটি সংস্থার। কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে হেঁটে ওড়িশার কটকে নেতাজির জন্মস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন হুগলির চুঁচুড়ার দুই ব্যক্তি।
কলকাতা থেকে হেঁটে কটক পৌঁছে যাওয়া এই দুই ব্যক্তির নাম বুদ্ধদেব দাস ও মৃণাল দাস। তাঁরা স্বামীজির জন্মদিবস ১২ জানুয়ারি কলকাতা থেকে হাঁটা শুরু করেন। গতকাল সন্ধেবেলা তাঁরা কটকে পৌঁছন। এই কয়েকদিনে তাঁরা রাত কাটিয়েছেন হয় পথে তাঁবু খাটিয়ে, না হলে কোনও আশ্রমে। রোজ গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হেঁটেছেন তাঁরা। একদিনে সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার হেঁটেছেন। গতকাল কটকে পৌঁছে তাঁরা রাত কাটান সেখানকার রামকৃষ্ণ মিশনে। আগামীকাল তাঁরা ফিরে আসছেন।
পেশায় ফটোগ্রাফার বুদ্ধদেব। তিনি বরাবরই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। মৃণাল পেশায় শিক্ষক। এই দুই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি মনের জোরে হেঁটে কলকাতা থেকে কটক পৌঁছে গেলেন।
কলকাতার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই নানা সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে উপলক্ষে কলকাতা থেকে ঢাকা যান এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা। ১৯৯৭ সালে নেতাজির জন্মদিবসে তাঁরা দেশজুড়ে সাইকেল যাত্রা করেছিলেন। এবার স্বামীজির দেশে ফেরার ১২৫ বছর এবং নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিবস উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল। স্বামীজির জন্মদিবসে পদযাত্রা শুরু করার পাশাপাশি তাঁর দেশে ফেরার তারিখ ১৫ জানুয়ারিতে সাইকেল যাত্রা শুরু করার কথা ভাবা হয়েছিল। তমলুকে মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়ি, মেদিনীপুরে ক্ষুদিরাম বসুর বাড়ি, ওড়িশার বালাসোর, বুড়িবালামে বাঘা যতীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই সাইকেল যাত্রা করা হবে।