সুনীত হালদার ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া ও চুঁচুড়া: উত্তরাখণ্ডে ধস আর হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪। উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে যাওয়া নিখোঁজ ১১ অভিযাত্রীর মধ্যে ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে।
পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন বাংলার বহু পর্যটকও। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া চুঁচুড়ার পর্যটকদের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক। নৈনিতালে আটকে পড়েছেন হাওড়ার অন্তত ৫০ জন পর্যটক। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারায় কিছুটা স্বস্তিতে পরিবার।
দশমীর দিন হাওড়া থেকে নৈনিতালের উদ্দেশে রওনা দেন কমপক্ষে ৫০ জন পর্যটক। কারও বাড়ি ডোমজুড়, কারও দাশনগর, আন্দুলে। দ্বাদশীর দিন নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে আটকে পড়েন তাঁরা। কাচছি ধাম যাওয়ার পর আর এগোতে পারেননি তাঁরা। বৃষ্টি ও ধসে রেললাইনের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত, তবে ফোনে কথা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে পরিবার। টানা ৭২ ঘণ্টা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।
হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া পর্যটকের আত্মীয় অজয় দাস জানিয়েছেন, ‘১৫ অক্টোবর বেড়াতে যায়। নৈনিতালে আটকে পড়ে। যোগাযোগ করতে পারেনি। গতকাল পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার লালকুয়া স্টেশন থেকে হাওড়ামুখি ট্রেন ধরার কথা আছে। এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছি। ভিডিও কল করে কথা হয়েছে।’
বুধবার যোগাযোগ করা গেছে পঞ্চমীর দিন হাওড়ার বাগনান থেকে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গেও।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া হুগলির চুঁচুড়ার পর্যটকদের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, ‘পর্যটকদের পাশে আছি।’
চুঁচুড়ার আটকে পড়া পর্যটকের আত্মীয় বিশ্বদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ফোনে ব্যাটারি নেই। এখনও ধস নেমে আছে। ৭ জন ভওয়ালিতে আছে।’
উত্তরাখণ্ডে প্রকৃতির রুদ্ররোষের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও যেদিকে চোখ যায়, শুধুই ধ্বংসের ছবি। বৃহস্পতিবার আকাশপথে উত্তরখণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং-এ যাওয়া নিখোঁজ অভিযাত্রীদের মধ্যে ৫জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ।