দীপক ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : একের পর এক বিধায়ক, সাংসদদের দলবদল । পুরভোটে পরাজয় । নেতাদের মধ্যে মতবিরোধের জল্পনা একের পর এক সমস্যায় যখন জেরবার বঙ্গ বিজেপি, তখন কার্যত ভোকাল টনিকের কাজ করেছে আক্রমণাত্মক নবান্ন অভিযান। 


‘চোর ধরো, জেল ভরো’
নবান্ন অভিযানের ( Nabanna Abhijan )  ঝাঁঝকে হাতিয়ার করেই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি ( BJP Bengal ) । নবান্ন অভিযানের ঝাঁঝকে হাতিয়ার করেই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। পুজোর পর জেলায় জেলায় ফের হবে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি।


'কারও কৃতিত্ব ছোট করে দেখা চলবে না'
নতুন করে তৈরি হবে বুথ কমিটি ( Booth Committee )। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ICCR-এর বৈঠকে। বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল বলেছেন, দলে এমন অনেক নেতা আগে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন, যাদের যথেষ্ট কৃতিত্ব ও অবদান রয়েছে।  তাঁদের জন্যই এরাজ্যে দলের ভিত মজবুত হয়েছে। তেমনি বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডের পরামর্শ - কারও কৃতিত্ব ছোট করে দেখা চলবে না।


একসময় সক্রিয় থাকলেও, পরে দলীয় কাজকর্ম থেকে দূরে সরে গেছেন, এমন নেতা-কর্মীদের নাম ও ফোন নম্বর জমা দেওয়ার জন্য জেলা সভাপতিদের নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব।


২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোটের পরই, ২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। যাকে পাখির চোখ করে, ইতিমধ্যেই বুথ স্তরে রদবদল করতে শুরু করেছে তৃণমূল। একের পর এক ইস্যুকে হাতিয়ার করে পথে নামছে বামেরা। বিজেপিও কি এবার নবান্ন অভিযানের ঝাঁঝ নিয়েই আরও ঝাঁঝালো ভাবে রাস্তায় নামবে? 


অন্যদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযান মামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জবাবি হলফনামা চান বিজেপির আইনজীবী। রাজ্যের তরফে হাওড়া এবং কলকাতায় বিজেপির অভিযান নিয়ে দুটি পেন ড্রাইভ জমা দেওয়া হয় আদালতে। আগে পেন ড্রাইভ দেখুন প্রধান বিচারপতি, তাহলেই বুঝতে পারবেন ওইদিন কী ঘটেছিল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি।