কলকাতা: নামে-বেনামে কত সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)? সায়গলের গ্রেফতারির পরেই তাঁর স্ত্রী ও মায়ের নামে থাকা বেশ কিছু সম্পত্তির হাতবদল হচ্ছে। এই দাবি করে এবার সায়গল হোসেনের স্ত্রী ও মাকে তলব করল ইডি (Emforcement Directorate)। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Emforcement Directorate) সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, সায়গলের স্ত্রী ও মায়ের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।


আসানসোল জেলে সায়গল: টাকার উত্স কী, কীভাবে এইসব সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি (ED)। এইসব সম্পত্তি গরুপাচারের টাকায় কেনা হয়েছে বলে ইডি-র সন্দেহ। অন্যদিকে, ইডি-র নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে সায়গলের পরিবার। খবর সূত্রের। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন সায়গল। 


চোদ্দ দিনের জেল হেফাজত: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেছে এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছে। আদালতে এই দাবি করে সিবিআই (CBI)। আর তারপরই, সায়গল হোসেনকে ফের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত । 


SSCকাণ্ডে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল., গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। কয়লাকাণ্ডঅভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ। একের পর এক ঘটনার সিবিআই ও ED তদন্ত ঘিরে উত্তাল রাজনীতি! উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। নিরপেক্ষ বনাম রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট তরজা! এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড লেটারে CBI’এর তরফে দাবি করা হয়, অনুব্রতর দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেছে এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছে। 


পাল্টা তাঁর আইনজীবী বলেন, চার্জশিট আগেই জমা পড়েছে। আবার CBI জেলে রাখতে চাইছে। এখনও পর্যন্ত চার্জশিটের কপি পাইনি। আমরা মনে করছি বেআইনিভাবে তদন্ত করছে CBI। CBI বলছে, বিএসএফ, কাস্টমস অফিসারদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, চার্জশিটে সেখানে এ’কথার কোনও উল্লেখ নেই। এরপরই CBI’এর তদন্তকারী অফিসার বিচারকের কাছে কেস ডায়েরি জমা দেন। তখন CBI’এর আইনজীবী রাকেশ সিংহ বলেন, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই মামলার অগ্রগতির তথ্য কেস ডায়েরিতে পেশ করেছি। সেই তথ্যই বলে দিচ্ছে সায়গলের কী ভূমিকা ছিল। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর জেলা হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে দেয় আদালত।


এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের ২টি মোবাইল ফোন পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ CBI আদালত। গ্রেফতারির দিন, অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল ফোন দুটি বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার, আদালতে CBI’এর তরফে বলা হয়, তারা অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল ফোন দুটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠাতে চান। এর পাশাপাশি, মোবাইলের তথ্য নিজেদের কাছে কপি করে রাখতে চায় CBI। এর বিরোধিতা করে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন,


১১ই অগাস্ট ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, ১৮ই অগাস্ট মোবাইল ফোন দুটি তাদের কাছে রাখতে চায় বলে জানায় CBI। ওই সাত দিন তারা মোবাইল ফোন নিয়ে কী করল? কেন মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কথা আদালতে জানানো হল না। মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার নিয়মও মানা হয়নি বলে অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, অনুব্রত মণ্ডলের ২টি মোবাইল ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যপাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। CBI’এর কাছে থাকাকালীন মোবাইল ফোনের তথ্য বিকৃত করা হয়েছে কি না? এই বিষয়েও রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।