শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বীরভূমের ইলামবাজার, বহরমপুর, উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটির পরে এবার কোচবিহার (Coochbehar)। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ। পরে নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। খুনের (Murder) অভিযোগে নিহতের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টাকা নিয়ে বচসার জেরে খুন হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ঘটনার সময় অভিযুক্ত মত্ত অবস্থায় ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
কী অভিযোগ:
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন রফিকুল মিয়া নামে ওই যুবক। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজ যুবকের জন্য শুরু হয় খোঁজ। শনিবার খাপাইডাঙ্গা বাজারে যুবকের জামা ও মোবাইল ফোনের কভার উদ্ধার হয়। পুণ্ডিবাড়ি থানায় (Pundibari Police Station) অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তারও পরে রবিবার ঘরঘরিয়া নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। মৃতের ভাই রৌশন আলি বলেন, 'দাদা বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।'
গ্রেফতার অভিযুক্ত:
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমল রায়কে গ্রেফতার করেছে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, শুক্রবার খাপাইডাঙ্গা বাজারে ঘটনার সূত্রপাত। ওই দিন সেখানে রফিকুলের সঙ্গে টাকা নিয়ে বচসা বাধে তাঁর বন্ধু অমল রায়ের। বচসার সময় মত্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মত্ত অবস্থায় বচসার জেরে খুন করা হয় রফিকুলকে। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে উদ্ধার হয় রফিকুলের দেহ। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ।
এর আগেও একই ঘটনা:
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে (Panihati) বন্ধুদের হাতে খুন হন সায়ন দাস নামে এক যুবক। গত ১১ সেপ্টেম্বর, বীরভূমের বোলপুরে (Bolpur) বন্ধুর হাতে খুন হন সৈয়দ সালাউদ্দিন ওরফে জয় নামে এক পলিটেকনিক ছাত্র। তারপরে আবার ১৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে বন্ধুর হাতে খুন হন মইনুল শেখ নামে এক যুবক।
এবার কোচবিহারেও:
একই রকম ঘটনা ঘটল কোচবিহারের খাপাইডাঙ্গায়। ওই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayet Office) বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।