সুনীত হালদার, হাওড়া: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর (Second Hooghly Bridge) ওপরে বড়সড় দুর্ঘটনা (Accident) ঘটল। আর সেই বিপদ থেকে কোনওরকমে রক্ষা পেল বাকি যাত্রী ও ব্রিজে উপস্থিত গাড়িগুলি।
কী ঘটেছে?
এদিন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় একটি কন্টেনার বোঝাই লরি। আর এরপরই লরির ডিজেল (Diesel) ট্যাংক থেকে ডিজেল ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাস্তায়। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ায় বড় বিপদের আতঙ্কও গ্রাস করে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে এই ঘটনা জেরে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। বিদ্যাসাগর সেতু কলকাতা থেকে হাওড়াগামী দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে ওই লরিটিকে সরানোর জন্য চেষ্টা চালানো হয়।
আরও পড়ুন, কালীঘাটে ৩০০ কোটি টাকা স্কাইওয়াক বানানো হচ্ছে, বাংলা কারও কাছে ভিক্ষা চায় না: মমতা
যদিও কোনওরকম হতাহতের খবর না থাকলেও বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন বহু সংখ্যক মানুষ। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর লরি চালকের দিকে। যদিও তিনি জানিয়েছেন, খিদিরপুর থেকে জিনিসপত্র ভর্তি করে জঙ্গলপুর দিকে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ওই চালক। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ওঠার কিছুক্ষণ পরে তিনি যখন ব্রেক কষতে চান, তখন তাঁর ব্রেক কাজ করে না।
চালক বলেন, সেই সময়ই তিনি বুঝতে পারেন যে ব্রেক ফেল হয়ে গেছে। টোল ট্যাক্সে ধাক্কা দিলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে সেই কারণে তিনি ডিভাইডারের ধাক্কা মারতে শুরু করেন। ধাক্কা মারার ফলে ডিজেল ট্যাঙ্কের লক খুলে যায়। এরপর ডিজেল বেরিয়ে পড়ে রাস্তার ওপরে। তবে লরি কিছুটা দূরে গিয়ে আটকে পড়ে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা ক্রেনের সাহায্যে সেই গাড়িটিকে সেখান থেকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান।