সুনীত হালদার, হাওড়া: দু'দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তবে আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। মেলেনি আনিসের মোবাইল ফোনও। এদিকে, পুলিশের কাছে বারবার নিরাপত্তা চেয়েও পাননি আনিস। অথচ তাঁর মৃত্যুর পর বাড়িতে বসেছে পুলিশি পাহারা। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৃত ছাত্রনেতার পরিজনেরা।                                            


এদিকে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নেবে। আমতার প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিশ খান খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় একথা বলেন। তিনি বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। কেউ যদি দোষ করে থাকে তাহলে সরকার তাকে ছাড়বে না। পুলিশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন বিরোধীরা এতদিন কোনো ইস্যু পাচ্ছিল না। তাই তৃণমূল সরকার এবং দলকে হেয় করার জন্য তারা এক জোট হয়ে এই চেষ্টা করছেন। তাতে তারা সফল হবেন না।


আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন। হাইকোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। দুপুর ২টোয় লিখিত বক্তব্য নিয়ে আসার জন্য আইনজীবীকে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।                 


আমতায় ছাত্রনেতাকে খুনের অভিযোগে, দেড় দিনের মাথায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। বিক্ষোভের মুখে ফিরলেন ASI। CBI তদন্তের দাবি তুলেছে নিহতের পরিবার। সূত্রের খবর, DGP-কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণের SP। হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতেই আনিসকে হত্যার খবর দেওয়া হয় আমতা থানায়! কিন্তু পুলিশ যায় পরদিন সকালে। ঘটনার দেড়দিন পরে ফরেন্সিক পরীক্ষা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।