ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: ইয়াকসম (Yuksom) থেকে গোয়েচালা (Goecha La) অবধি ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু হল বঙ্গ সন্তানের। কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে (Kanchenjunga Base Camp) প্রাণ হারালেন বালির সমবায়পল্লীর বাসিন্দা দেবব্রত। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।
ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু বঙ্গ সন্তানের
গত ১৭ মে ১১ জন সদস্যের একটি ট্রেকিং দলের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার পথে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। পাহাড়ে নির্দিষ্ট গন্তব্য ছুঁয়ে নামার পথে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তাঁর। যার ফলে মাঝপথেই মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ মে বাড়ি থেকে ট্রেকিং এর জন্য বেরিয়েছিলেন দেবব্রত। ১৯ তারিখ ভিডিওকলে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। এরপর উচ্চতার কারণে ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁর।
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবব্রত
২৫ তারিখ নামার পথে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নামিয়ে আনার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার এই খবর আসার পরেই শোকের ছায়া নামে পরিবারে। জানা গিয়েছে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবব্রত। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী এবং ছেলে ও মেয়ে।ইতিমধ্যে বাড়ির লোকজন দেহ আনতে গিয়েছে। স্থানীয়রা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখী হয়েছিল বাইশ সালে কলকাতাও
বছর দুইয়েক আগে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখী হয়েছিল বাংলা। বাইশ সালে স্বামী-মেয়ে এবং কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন কসবার বেদিয়াডাঙার বাসিন্দা। কিন্তু পাহাড়ে ওঠার শখই কাল হল ! পেশায় আয়কর দফতরের অফিসার ছিলেন কসবার বাসিন্দা দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেরাদুনের মৌলি থেকে তিনি ট্রেকিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু আচমকাই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মাত্র ৩৫ বছর বয়েসেই প্রাণ হারান তিনি। মেয়ের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
ট্রেকিং-এ গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার
উদাহরণ আরও রয়েছে। তেইশ সালে এমন ঘটনার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনা। বন্ধুদের সাথে পাহাড়ে ট্রেকিং-এ গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার। আরজিকর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষে পড়ছিলেন তিনি। তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে হরিদ্বার ঘুরতে গিয়েছিলেন সায়ন । ব্রহ্মনাথ পাহাড়ের ১২ হাজার কিলোমিটার ওপরে ওঠার পরেই হয় অঘটন। সায়নের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়তেই বন্ধুবান্ধব ও অন্যান্যরা উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাবড়ার বাসিন্দার।
আরও পড়ুন, মেয়ের বিয়ের সকালে আসার কথা ছিল পরিযায়ী শ্রমিক বাবার, ফিরল কফিনবন্দি দেহ !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।