সুনীত হালদার, শালিমার: হাওড়ার শালিমারে ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু। নিজের বাড়ির উঠোনেই মেলে মৃতদেহ। পাশে পড়েছিল পয়েন্ট থ্রি-টু বোরের লাইসেন্সড বন্দুক। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যবসায়ী। অনুমান শিবপুর থানার পুলিশের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু।


রান্নাঘরে স্বামীর জন্য জলখাবার বানাচ্ছিলেন স্ত্রী। আচমকাই গুলি চলার শব্দ। পড়িমড়ি করে স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে দেখেন, গোটা উঠোন রক্তে ভাসছে। লুটিয়ে পড়ে আছেন স্বামী। হাতের পাশে লাইসেন্সড রিভলভার। 


বুধবার সকালে হাওড়ার শালিমারের কোল ডিপোর কাছে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম অনিল মিশ্র। পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। কলকাতায় প্লাইউডের ব্যবসাও আছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন।


পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাবার মৃত্যুর পর অনিল মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনিল মিশ্র। ব্যবসাতেও মন্দা চলছিল। ৩ মাস ধরে বাড়ির বাইরে বেরোতেন না। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। হাঁটা চলা সেভাবে করতে পারতেন না। 


প্রাথমিক তদন্তের পরে শিবপুর থানার পুলিশের বক্তব্য, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করতে থাকতে পারেন ওই ব্যবসায়ী। যদিও কোনও সুইসাইডাল নোট পাওয়া যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।


এদিকে, এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তালতলা থানা এলাকার ডক্টর লেনে। আশিস ফিলিপ গোমস (৫১) পেশায় ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এর কাজ করতেন। ডক্টর লেনের বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন, পরিবার কাছেই অন্য বাড়িতে থাকতেন।


বুধবার সন্ধ্যা বেলায় তার বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয় মানুষরা, তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, তালতলা থানায় খবর দিলে তালতলা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিকে রবিবার শেষ দেখা গেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তা জানার জন্য দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।