সুনীত হালদার, হাওড়া: সাত সকালে হাওড়ার দাসনগর পোস্ট অফিসে আগুন। ভস্মীভূত বহু কাগজপত্র। পৌনে সাতটা নাগাদ পোস্ট অফিসের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও দাসনগর থানায় খবর দেন তাঁরা।


দমকলের একটি ইঞ্জিনের প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কম্পিউটারে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান অনেক গ্রাহক। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ সুরক্ষিত আছে কিনা, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তাঁরা। পোস্ট অফিসের জীর্ণ অবস্থা নিয়েও ক্ষুব্ধ তাঁরা।  


কিছুদিন আগে ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। গভীর রাতে কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টিতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত ৬-৮টি গুদাম লাগে। রাত দেড়টা নাগাদ আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।


আর পড়ুন, অতি গভীর নিম্নচাপে ফের দুর্যোগ, কাল থেকেই আচমকা বদলাবে আবহাওয়া


প্রাথমিক অনুমান ছিল, প্লাস্টিকের গুদাম থেকে আগুন ছড়ায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় পাশের ছাঁট লোহা, ফাইবারের আরও কয়েকটি গুদাম। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায়, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। কী কারণে আগুন, এখনও স্পষ্ট নয়।                                                       


শহরে পর পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা                              


তার কিছুদিন আগে উল্টোডাঙায় প্লাইউডের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। পাশের আরেকটি প্লাইউডের গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এই মুহূর্তে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ ইস্ট ক্যানাল সার্কুলার রোডের ওই প্লাইউডের গুদামে আগুন লেগেছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল আকাশ। ঘিঞ্জি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে