সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ডোমজুড়কাণ্ডে নির্যাতিতার অবস্থার অবনতি হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের CCU-তে ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার বিচার চেয়ে গতকালই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন নির্যাতিতার মা। আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেও শ্বেতাকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।
এখনও নাগালের বাইরে শ্বেতা খান। ডোমজুড়ে চাকরির টোপ দিয়ে ডেকে বাড়িতে বন্দি করে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত আরিয়ান গলফ গ্রিন থেকে গ্রেফতার। পুলিশের জালে আরিয়ানের সঙ্গী জয়াও। তাতে কিছুটা সন্তুষ্ট নির্যাতিতার মা। গতকালই এই ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে গ্রেফতারির দাবিও করেন তিনি। যদিও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি আরেক অভিযুক্ত শ্বেতা খানকে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিন নির্যাতিতা মা শ্বেতাও দ্রুত গ্রেফতারির দাবি করেন। কেমন আছেন নির্যাতিতা তরুণী? পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল তার বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তবে রিপোর্ট সন্তোষজনক নয়। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন তরুণীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। গতকাল রাতেই তাঁকে CCU-তে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে, তা টের পাননি কেউই। চাকরির টোপ হাওড়ার ডোমজুড়ের বাড়িতে নির্যাতিতাকে পাঁচ মাস আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু আটকে রাখাই নয়, চলেছে নির্মম অত্যাচার। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, কাটারি দিয়ে, লোহা দিয়ে, যা পেয়েছে তাই দিয়ে অত্যাচার করেছে। কোমর ভেঙে দিয়েছে, পায়ে মেরেছে, পা ভেঙে দিয়েছে, হাতে মেরেছে, হাত ভেঙে দিয়েছে, সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে। পা ফুলে রক্ত বেরিয়েছে। মুখে লোহার রড ঢুকিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের। গত বৃহস্পতিবার কোনওক্রমে ডোমজুড় থেকে খড়দার বাড়িতে পালিয়ে আসেন ওই নির্যাতিতা তরুণী। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। খড়দা থানা থেকে এরপর বিষয়টি জানানো হয় হাওড়া সিটি পুলিশকে। তদন্তে নামে তারা। ঘটনা সামনে আসার ৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীকে। এখনও অধরা আরও এক। এর আগেই নির্যাতিতা অভিযোগ করেছিলেন, "ওর বাড়িতে নিয়ে গেল, বারে কাজ করতে হবে বলে আমাকে বললয আমি বললাম না আমি করব না। তারপরে এইরকম অত্যাচার করে। একটু কিছু ভুল করলেই মারবে। ফোন ওরা নিয়ে নিয়েছে, সিম ভেঙে দিয়েছে।''