সুনীত হালদার, হাওড়া: করোনার মধ্যেও দিন রাত খেটে চলেছেন। কত শত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন রোজ। অথচ বেতনের বেলায় যত গড়িমসি, নিয়ম-কানুনের বেড়াজাল (Starters Protest)। সময়ে হাতে টাকা পাওয়াই দুষ্কর। তাই নিয়ে এ বার প্রতিবাদে নামলেন বাসস্ট্যান্ডে (Bus Stop) গুমটির দায়িত্ব সামলানো স্টার্টাররা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
শুক্রবার হাওড়ার (Howrah News) ডোমজুড়ের সলপ বাজারে বিক্ষোভ দেখান স্টার্টাররা। তার জেরে ডোমজুড়ের সলপ বাজার থেকে নাগেরবাজার রুটে ১৮টি বেসরকারি বাস আটকে যায়। তাতে বিপাকে পড়েন কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে তাঁরা দেখেন, পর পর একাধিক বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বিক্ষোভকারী স্টার্টারদের অভিযোগ, বাসের মালিক প্রত্যেক মাসে চালক এবং কন্ডাক্টররে হাত দিয়ে বেতন পাঠিয়ে দেন তাঁদের কাছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই নয়া নিয়মের ঘোষণা হয়। জানানো হয়, নাগেরবাজার গিয়ে ভাইচারে সই করে বেতন তুলতে হবে প্রত্যেককে।
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: সামনেই পুরভোট, শিলিগুড়িতে জমজমাট প্রচারে বিজেপি-সিপিএম-তৃণমূল
এতেই আপত্তি স্টার্টারদের। এ দিন স্ট্যান্ডে এলেও কাজে যোগ দেননি তাঁরা। বাস আটকে বিক্ষোভ দেখান সকলে মিলে। বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমব্যথী হতে দেখা গিয়েছে নিত্যযাত্রীদেরও। তাঁদের যুক্তি, বাস না চলায় সমস্যায় পড়ছেন বটে, কিন্তু স্টার্টাররা যেহেতু কমিশনের উপর কাজ করেন, তাই তাঁদের টাকার ব্যাপারটা মিটে যাওয়া উচিত। বাস না চললেও কমিশন পাবেন না স্টার্টাররা। তাই শীঘ্র দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যাক বলে চান সাধারণ মানুষ। বাসের চালক এবং কন্ডাক্টররাও এ ব্যাপারে একমত।
এরা গে, গতবছর করোনার প্রকোপে সবচেযে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এই স্টার্টাররাই। দিনভর হাজার মানুষের সংস্পর্শে আসায় তাঁদের অনেকেই সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলেন। তার জেরে, আহিরীটোলা থেকে উত্তর কলকাতার অরবিন্দ সেতু, উল্টোডাঙা রেল স্টেশন, লেক টাউন, ভিআইপি রোড, রাজারহাট হয়ে খড়িবাড়ি রুটের বাস বন্ধ হয়ে যায়। করোনার তৃতীয় ঢেউ বলে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার প্রকোপ নিয়েও আতঙ্কিত স্টার্টাররা।