সুনীত হালদার, হাওড়া: বালি পুরসভা ও হাওড়া পুরসভার একসঙ্গে ভোট করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বালি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরা। বৃহস্পতিবার ১৫ জন কাউন্সিলর পার্টি অফিসে বৈঠক করেন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়। আগামীকাল বিধানসভায় বালি পুরসভাকে আলাদা করা নিয়ে আলোচনা হবে।
বালি এলাকায় উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুন মাসে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। প্রায় তিন বছর ওই পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভা অধীনে ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে হাওড়া পুরসভা তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে বালি পুর এলাকা হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী পরিষেবা দিয়ে আসছিল। দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডে ভোট করানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিলমোহর দেয়।
এদিকে আজ বালি পুর এলাকার ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর হাওড়া পুরসভা সাথে একই সঙ্গে ভোট করানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখেন। প্রাক্তন কাউন্সিলররা জানিয়েছেন বালি মিউনিসিপ্যালিটি হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অধীনে যাওয়ার ফলে ওই এলাকার বাজেট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বালি পুরসভার ৯০ কোটি টাকা হাওড়া পুরসভাতে আসে। বেশি অর্থ বরাদ্দের কারণে উন্নয়নের গতি পায়। প্রাক্তন কাউন্সিলর দাবি করেন এলাকার মানুষ একইসঙ্গে ভোট চাইছে। যদি বালিতে ফের মিউনিসিপালিটি হয় তবে সে ক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ওই পৌরসভার কর্মীদের চাকরিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদিকে আজ হাওড়া পুরসভার আশেপাশে একই সঙ্গে ভোটের দাবিতে বেশ কিছু পোস্টার দেখা যায়। সেই পোস্টটারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয় যাতে একইসঙ্গে ভোট হয়। পোস্টারটি লাগিয়েছেন বালির বাসিন্দারা। এই নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী আলাদা করে ভোট করার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন নতুন ধরনের পরীক্ষা কাটাছেঁড়া এসব চলবে না। মানুষ এটাকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না।