সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়িতে প্লাস্টিকের কারখানায় (Plastic Factory) বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা কারখানা। আজ সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ নস্করপাড়ার (Naskar Para) প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Locals)। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে বালতি করে জল ঢালা শুরু হয়। পরে দমকলের (Fire Tenders) ৩টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানায় কাজ চলার মাঝেই আগুন লাগে। তখন কারখানার ভেতরে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা (Workers)। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে সবাই হুড়মুড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আগুনের লেলিহান শিখা কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রাস করে ফেলে গোটা কারখানা। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেখে দ্রুত তা নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাই। কারখানার পাশের বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে তারা শুরু করেন জল ছোড়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। ৩ টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে কারখানায়। কয়েকমাস আগেও ঘুসুড়িতে কারখানায় আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল একটি কারখানা।
প্রসঙ্গত, গত রাতেই হাওড়ার বাগনানের (Bagnan) চন্দ্রপুরে বন্ধ প্লাস্টিক কারখানায় (Plastic Factory) বিধ্বংসী আগুন লাগে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে প্লাস্টিক কারখানার আগুন লেগেছিল। ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে যে কারখানা। সেখানে শর্ট সার্কিট (Shot circuit) থেকে কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্যতে আগুন লাগে বলেই অনুমান দমকলের।
আরও পড়ুন- বেপরোয়া গতিতে এসে লরিতে সজোরে ধাক্কা SUV-র, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা শহরে, মৃত ৫, আহত ১
গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারেও বিধ্বংসী আগুন (Fire) লেগেছিল। যে আগুনের ভয়াবহতায় ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ১৬টি বাড়ি। আহত হয় ৫ শিশু। আহত শিশুদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। যেখানে রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।