সুনীত হালদার, ঘুসুড়ি: হাওড়ার ঘুসুড়িতে ‘বিষ’ মদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১ জন। পরিকল্পিত গণহত্যা, কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মৃতদের বাড়িতে গিয়ে কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি ১৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার দাবি করেছে বিজেপি। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কোনও ইস্যু নেই, তাই হইচই করার চেষ্টা, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত হাওড়া ‘বিষ’মদকাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বর্ধমানের পর এবার হাওড়া! গতকাল ফের মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। থানার অদূরেই বেআইনি মদের ঠেক চালানো নিয়ে উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্ন। আজ সেসব বেআইনি মদের ঠেক ভাঙল উত্তেজিত জনতা।
বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনার রেশ কাটার আগেই, এবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল হাওড়ার ঘুসুড়িতে! এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের! হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও বেশ কয়েকজন। গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই পূর্ব বর্ধমানে মদের বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগ তো রয়েছেই। এর আগে ২০১৮’র নভেম্বরে বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। তার ঠিক এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মদের বিষক্রিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৫’র সেপ্টেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে মারা যান ২১ জন! তারও আগে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জয়নগরে একই ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান ৫ জন।
রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার বছরে, ডিসেম্বর মাসে ঘটেছিল সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড! সেবার বিষমদ খেয়ে ১৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু, বারবার এভাবে বিষ মদে প্রাণ যাচ্ছে কেন? আর কবে সক্রিয় হবে প্রশাসন? কেন বারবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে?