সুনীত হালদার, হাওড়া: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তি। রবিবার সকাল থেকে পুকুরে ভাসতে দেখা যায় তাঁর মৃতদেহ। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুরের জলে ভাসছিল মৃতদেহটি। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে পুকুরের পাড় থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে, যাতে ক্যান্সার থেকে ফেরার উপায় নেই জানিয়ে সকলকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। (Howrah News)


হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল এলাকার ঘটনা। রবিবার সকালে সেখানকার একটি পুকুরের জলে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা ছিল। সেই অবস্থাতেই ভাসছিল মৃতদেহটি। মৃত ব্যক্তিকে তপন মণ্ডল বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন। গতকাল সন্ধে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। (Howrah Dead Body in Pond)


মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজিও চলে। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পর রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরেই তপনের দেহ ভাসতে দেখেন পাড়ার লোকজন। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের। 


আরও পড়ুন: West Bengal Weather Forecast: ঝোড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি, রাখিতেও দুর্যোগের ইঙ্গিত কলকাতা-সহ জেলায়, জারি হল কমলা সতর্কতা


পুকুরে দেহ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশও। পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তপনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তপন। এই ঘটনায় আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তপনের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তপন। এই ঘটনায় আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তপনের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে এদিন পুকুর পাড় থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়। সাদা কাগজের উপর লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, 'ক্যান্সার নো আনসার। বিদায় সকলকে'। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে।  তবে হাত-পা কেন বাঁধা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করছে পুলিশ।