ভাস্কর ঘোষ, লিলুয়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে। লিলুয়ার আনন্দনগর সুকান্ত পল্লি এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল ২৫ বছরের যুবকের মাথা থ্যাঁতলানো দেহ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি চলছিল। গতকাল বাড়ির সামনে স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। মৃতের স্ত্রীর দাবি, স্বামীর সঙ্গে বচসা হওয়ায় তিনি পাশের ঘরে ছিলেন। পরে পাশের ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে নামাতে যান। সেইসময় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান স্বামী। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের গলায় ফাঁসের দাগ মিলেছে। মৃতের স্ত্রী ও অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে লিলুয়া থানার পুলিশ।
চলতি মাসের শুরুতে গোপীবল্লভপুরে (Gopiballavpur) প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ৯ মাস পর গ্রামে ফিরে এসে গলায় দড়ি দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনা। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার গোপীবল্লভপুর ব্লকের অন্তর্গত গোপীবল্লভপুর থানার বংশীধরপুর গ্রামে বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। মৃত প্রেমিক ও প্রেমিকার নাম ধীরেন ডাঙ্গুয়া ও অঞ্জলি সিং। দুজনেরই বাড়ি গোপীবল্লভপুর থানার বংশীধর পুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক নাবালককে গ্রেফতার করল দিনহাটা থানার পুলিশ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৯ মাস আগে ধীরেন ডাঙ্গুয়া তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়েকে ছেড়ে স্থানীয় এক গৃহবধূ অঞ্জলি সিংকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অঞ্জলি সিংয়ের স্বামী অনন্ত সিং। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সেই সময় তাদের খোঁজ করে কোথাও পাওয়া যায়নি। এরপর প্রায় নয় মাস পর বুধবার সকালে বংশীধরপুর গ্রামের মাঝে থাকা বড়খাল এলাকায় একটি নিমগাছে ওই দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত ধীরেন ডাঙ্গুয়ার স্ত্রী যমুনা ডাঙ্গুয়া বলেছেন, ৯ মাস আগে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল আমার স্বামী। আমি ছেলে মেয়েকে নিয়ে দিনমজুর খেটে সংসার চালাচ্ছি। একদিনও বাড়ি ফিরে আসেনি। লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে ।