সুনীত হালদার, হাওড়া: পানীয় জলের দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। বিক্ষোভে সামিল হয় মহিলারাও। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাঁকড়া দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। হাতে খালি বালতি ও পোস্টার নিয়ে গ্রামবাসীরা হুড়মুড়িয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখাতে থাকেন।
মহিলারা চেয়ার ছুড়তে থাকে পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বাঁকরা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বাকড়ার জমাদার পাড়া সহ আশপাশ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রায় এক হাজার পরিবারের পানীয় জলের লাইন থাকলেও জলের চাপ কম থাকায় তারা দীর্ঘদিন জল পাচ্ছেন না। তারা বারবার পঞ্চায়েতের কাছে দরবার করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার টিউবয়েল থেকেও ভালোভাবে জল পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ক্ষোভে মহিলারা চেয়ার ছুড়তে থাকেন। তারা অবিলম্বে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের দাবি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। কবে থেকে জল পাওয়া যাবে এ ব্যাপারে উত্তর দিতে পারেনি পঞ্চায়েত।
তেইশের এপ্রিলে, পানীয় জলের সঙ্কট দেখা গিয়েছিল জেলাজুড়ে। দক্ষিণবঙ্গের মতোই উত্তরবঙ্গেও এক ছবি ধরা পড়েছিল। জলের অভাব, আর সেই কারণেই প্রবল ভোগান্তি হয়েছিল বাসিন্দাদের। মালদার চাঁচলে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পানীয় জলের দাবিতে বালতি, কলসি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, ছবি মণ্ডল নামে এলাকার এক মহিলা পিএইচই (PHE) প্রকল্পের দরজায় তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সেই কারণেই মিলছে না পানীয় জল। ওই মহিলার পাল্টা দাবি ছিল, চাকরি পেলে তবেই পানীয় জল পাবেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, ভরা পুজোয় হুঙ্কার রাজ্যপালের, 'দুর্গা মাকে সাক্ষী রেখে' সি ভি আনন্দ বললেন..
উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলাতেও জলের দাবিতে চলেছিল অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ চালিয়েছিল পুলিশ। স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলা চণ্ডীতলা এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বছর দুয়েক ধরে জলের সঙ্কট চলছিল। বারবার জানানো সত্ত্বেও পুরসভার তরফে সাড়া মিলছিল না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে শেষমেষ পথে নেমে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোদপুর-বারাসাত রোড অবরোধ করেছিলেন তাঁরা।