সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। আজ সকাল ৮.১২ মিনিটে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইনদওরে জন্ম হয় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর। তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে মুম্বইয়ে। তবে বাংলার সঙ্গে তাঁর গভীর যোগাযোগ ছিল। বাংলার সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে যেমন কাজ করেছেন, তেমনই বাঙালি সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে গানও গেয়েছেন। কলকাতাতেও বহুবার গান গাইতে এসেছেন তিনি। আজ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে হাওড়াতেও শোকের ছায়া।
সঙ্গীত-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ও তাঁর তিন বোনকে নিয়ে গান লিখে সুর দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গান লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে গাওয়াতে না পারার আক্ষেপ থেকেই গেল সুরকার, গীতিকার ও গায়ক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের। তিনিও আজ শোকস্তব্ধ।
হাওড়ার লক্ষণ দাস লেনে নিজের বাসভবনে বসে লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন প্রবীণ এই শিল্পী। তিনি জানিয়েছেন, ‘কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সেই অনুষ্ঠানের রিহার্সালে গিয়ে আলাপ হয়েছিল লতাজির সাথে। সেদিন উপস্থিত ছিলেন ভি বালসারা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সঙ্গীত ব্যক্তিত্বরা। সেই রিহার্সালে হিন্দি ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র জনপ্রিয় গান ‘দিল দিওয়ানা বিন সজনাকে মানে না’-র বাংলা অনুবাদ করেছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই গান কিছুক্ষণের মধ্যেই রিহার্সালে এবং পরে স্টেজে গেয়েছিলেন লতাজি। কিন্তু পরে সেই গান আর রেকর্ড হয়নি। তাই আজও প্রকাশ্যে আসেনি গানটি।’
দীপঙ্করবাবু আরও জানিয়েছেন, ‘আমার লেখা গান ও সুরে গলা মিলিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও মান্নাদের মতো শিল্পীরা। লতাজির সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর থেকে তাঁকে দিয়ে গান গাওয়ানোর ইচ্ছে ছিল। চার বোনকে নিয়ে একটি গান লিখেছিলেছিলাম। মুম্বইয়ে গিয়ে লতাজিকে সে কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে গান গাইতে রাজী হননি লতাজি। তাই সে আক্ষেপ রয়েই গেল। তবে এবার লতাজির ভাইঝি রাধিকাকে দিয়ে সেই গান গাওয়ানোর ইচ্ছে আছে।’