সুনীত হালদার, হাওড়া: ভোররাতে গৃহস্থের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীর দল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায় (Howrah)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে সাঁকরাইল থানার নাবঘড়ার বাসিন্দা তপন মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয়। জানা গিয়েছে সেই ব্যক্তির একটি ফটো স্টুডিও রয়েছে। জানা গিয়েছে তিনতলার ছাদের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ে।
খোয়া গিয়েছে নগদ টাকা?
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে দুষ্কৃতীরা যেভাবে হানা দিয়েছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে যে তৃতীয় তলায় ছাদের দরজা খুলে ভেতরকে ঢোকার পর দোতালায় তপন মণ্ডলের মেয়ের ঘরের আলমারি খুলে সোনার গয়না সহ নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। পুলিশ বাড়়ির মালিক তপন মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন দোতালার ঘরে মেয়ের ঘরের দরজা ভেজানো ছিসল সেই সময়। আলমারির চাবি বিছানার পাশে ছিল। দুষ্কৃতীরা সেই আলমারি খুলে চুরি করেছে। জানা গিয়েছে যে, টেবিলে একটি ক্যামেরা ছিল। দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিল। কিন্তু কোনও আওয়াজ পেয়ে হয়ত তা না নিয়েই পালিয়ে যায়। সাঁকরাইল থানার পুলিশ এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে দুষ্কৃতী হানার খবর এর আগেও আমরা পেয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল।
নিরাপত্তার ফাঁক গলে মমতার বাড়িতে দুষ্কৃতী
কিন্তু কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা হাই সিকিওরিটি জোনের মধ্যে পড়ে। সেখানে নজরদারি এড়িয়ে ওই ব্যক্তি কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে সক্ষম হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে গার্ডরেল টপকে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তা কেউ টেরই পাননি। রবিবার সকালে তাঁকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পর ওই ব্যক্তিকে ধরে কালীঘাট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।