ভাস্কর ঘোষ, বেলুড় : প্রথা মেনে দোলের আগের দিন বেলুড় মঠে হল বুড়ি পোড়া বা হোলিকা দহন। রীতি অনুযায়ী, শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর স্বামীজির বাসভবন সংলগ্ন গঙ্গার ধারে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ শুরু হয় হোলিকা দহন অনুষ্ঠান। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ মানুষ, ভক্ত ও সন্ন্যাসী মহারাজরা। দহনের আগে পুজোপাঠ, আরতি ইত্যাদি হওয়ার পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুরাতন রীতির সঙ্গে পুরাতন জীর্ণতা মুছে বসন্তের আবাহন অর্থাৎ নবীনবরণ। অনুষ্ঠানের আনন্দ নেন সকলেই। সন্ন্যাসী মহারাজরা গান এবং সংকীর্তন করেন। দূর দূরান্ত থেকে আগত ভক্ত এবং দশকরা উপভোগ করেন সমস্ত অনুষ্ঠান।


হোলির রঙে মাতোয়ারা হয়ে ওঠার তৎপরতা চলছে দেশজুড়ে। এই উৎসব বসন্তের আগমনের বার্তা দেয়। এই উৎসবে বিভিন্ন রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। লাল-নীল-হলুদ-সবুজ-গোলাপি...বাদ থাকে না কিছুই। কিন্তু, সব উৎসবের মতোই হোলিতেও প্রয়োজন সাবধানতা। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এই সময়ে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, তাদের যেমন মোলায়েম ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, আবার শ্বাস-সমস্যাও হতে পারে। রঙে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতি করতে পারে শিশুদের। যে তীব্র আওয়াজ ও জল ছেটানো হয়, তাতে সমস্যা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কী করে হোলিতে সুরক্ষিত রাখবেন শিশুদের ?



  • যদি সম্ভব হয়, বাড়িতেই হোলির আয়োজন করুন। যাতে বাইরে অনেকের সামনে তাকে না পড়তে হয়। বাড়িতেই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ রঙের আয়োজন করে উৎসবের পরিবেশ তৈরি করুন।

  • ফুল, সবজি বা হার্বাল নিঃসরণ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক ও অর্গানিক রং ব্যবহার করুন। সিন্থেটিক রং ব্যবহার করবেন না। তা শিশুর পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।

  • হাল্কা ও হাত-পর্যন্ত ঢাকা পোশাক পরান শিশুকে। প্যান্টও যাতে নরম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। 

  • সরাসরি রং বা রং মিশ্রিত জল যাতে শিশুর কাছে না পৌঁছয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ, নাক-মুখ দিয়ে রং ঢুকে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।

  • রং বাইরে খেলুন বা বাড়িতে, শিশু যাতে হাইড্রেট থাকে তার দিকে নজর দিন। 

  • হোলির সময় শিশুর দিকে কড়া নজর রাখুন। দেখুন যে, তার কোনও অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে কি না।
    আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে