সুনীত হালদার, হাওড়া: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ঘরবাড়ি। দিকে দিকে কান্নার রোল। নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রয়োজনীয় নথি। পুড়ে গিয়েছে বই খাতাও। কীভাবে হবে স্বপ্নপূরণ? ডুমুরজলায় অগ্নিকাণ্ডের পর শঙ্কায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নন্দিনী যাদব।


অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই: মঙ্গলবার সন্ধেয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ইছাপুর বস্তির বড় অংশ। আগুনের লেলিহান শিখায় কমপক্ষে ৯০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ঘরের মধ্যে যাবতীয় আসবাবপত্র সহ বই, ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সবই পুড়ে গিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা নন্দিনী যাদব। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নন্দিনী। সব বই খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নন্দিনী যাদব ব্যাটরা পাবলিক লাইব্রেরি শিক্ষা নিকেতন গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বইখাতা হারিয়ে অথৈ জলে পড়ুয়া। তাই এখনও বুঝে উঠতে পারছে না কীভাবে পড়াশোনা করবে বা পরীক্ষায় বসবে। পরীক্ষায় বসার স্বপ্ন কি মাটি হয়ে যাবে? শঙ্কার ওই পড়ুয়া সহ তার পরিবার। তার মা দুর্গা যাদব জানিয়েছে, ঘরের সমস্ত কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মেয়ের আর কোনও বই খাতা নেই। এখন কেউ যদি সহযোগিতা করেন তবেই সে পরীক্ষায় বসতে পারবে।


বাসিন্দাদের হাতে কার্যত অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। গতকালের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছুটে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ঘরে আগুন ধরে যায়। বস্তির বেশিরভাগ ঘরের বাসিন্দাই কোনও কিছুই বের করার সময় পাননি। গতকালই রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ২৪ ঘণ্টা পরেও আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট। ছড়িয়ে রয়েছে আধ পোড়া বইপত্র, খাতা এবং অন্যান্য আসবাবপত্র। শীতের রাতে সব হারিয়ে বাসিন্দারা কার্যত পথে বসেছেন। গতকাল রাতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইছাপুর গার্লস স্কুলে ক্যাম্প করা হয়। সেই ক্যাম্পেই বাসিন্দারা এক কাপড়ে ওঠেন। ক্যাম্পেই বাসিন্দাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Covid-19: ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সতর্ক থাকার পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর