সুনীত হালদার, হাওড়া: শীতের (Winter) মুখেই নতুন ভাবে সেজে উঠছে উলুবেড়িয়ার (Uluberia) পর্যটন কেন্দ্র। বোটানিক্যাল পার্ক (Botanical Park) থেকে চিলড্রেনস পার্ক (Childrens Park) তৈরি হচ্ছে নতুন করে। আসতে চলেছে বাঘ, জেব্রা, রকমারি মুখেও। নতুন বছরের আগেই খুলে দেওয়া যাবে নতুন চিড়িয়াখানা (Zoo), জানাচ্ছে প্রশাসন।
হরিণের ছোটাছুটি। কুমিরের রোদ পোহানো। কচ্ছপ তো ছিলই। এবার উলুবেড়িয়ার নদীর পাড়ের শান্তি নির্জন পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot) গড়চুমুকে শোনা যাবে বাঘের গর্জনও। প্রস্তুতি চলছে তারই। তৈরি হচ্ছে এনক্লোজার। শীতের মরসুমের শুরুতেই নতুন রূপে সেজে উঠছে গড়চুমুক। ১৯৯১ সালে হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঙ্গা ও দামোদরের মিলনস্থলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে পর্যটন কেন্দ্রটি।
শীতের মরসুমে এখানেই জমে ওঠে পিকনিক (Picnic)। অনেকেই আবার নিরিবিলিতে এক থেকে দুটো দিন কাটিয়েও যান এখানে। পর্যটন আকর্ষণে ২০০৮ সালে এখানে তৈরি হয়েছিল মিনি জু। তারপর কোভিড পরিস্থিতি, আমফান, ইয়াসের ধাক্কা লেগেছে এই পর্যটনকেন্দ্রে। তবে এবার সব ধাক্কা কাটিয়ে একেবারে নতুন ভাবে সেজে উঠছে এই জায়গা। মিনি জু পরিণত হচ্ছে চিড়িয়াখানা। সেখানেই এবার আসতে চলেছে লেপার্ড, বাঘ এমনকী জেব্রাও। তৈরি হয়েছে বোটানিক্যাল পার্কও। হাওড়ার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “সাজানো হচ্ছে কী হবে? নতুন করে গাছ লাগানো হবে। বাঘ নিয়ে আসা হচ্ছে। কোথা থেকে আসবে বলছে। সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমতি।‘’
ইতিমধ্যে কাজ কতদূর এগিয়েছে ঘুরে দেখেন ডিএফও। হাওড়া ডিএফও রাজু সরকার বলেন, ৯১ সালে ২০০৮ এ মিনি জু করা হয়। এবার বাঘ, লেপার্ড আনব। জলাশয়, পাখিতে সেজে উঠবে। এনক্লোজার থেকে, পাখির জন্য জলাশয়ের কাজ চলছে জোর কদমে। পর্যটন কেন্দ্রের কর্মী শেখ আরকাশ আলি জানান, খাঁচা তৈরি হচ্ছে। আরও আসবে, সেজে উঠবে। এই খবরে খুশি পর্যটকরাও। পর্যটক কেয়া মাইতি বলেন, বন্য প্রাণী এলে ভালো লাগবে।কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, নতুন চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া যাবে নতুন বছরের মধ্যেই।
আরও পড়ুন: Siliguri: প্রাণের বিনিময়ে ফিরল হুঁশ? শিলিগুড়িতে জবরদখল করে থাকা বাজার তুলে দিল পুলিশ