সুনীত হালদার, হাওড়া: স্বামী বিবেকানন্দের শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পদার্পণকে স্মরণীয় করে তুলতে নির্মাণ করা হল তোরণ বিবেক দুয়ার। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে ওই তোরণের উদ্বোধন করলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।
১৮৯৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমার দিন স্বামী বিবেকানন্দ ১৫ জন গুরু ভাইকে নিয়ে তিনটে নৌকায় চেপে আলমপুর বাজার মঠ থেকে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন। এরপর তিনি মৃদঙ্গ বাজিয়ে রাস্তায় গান গাইতে গাইতে এক কিলোমিটার দূরে শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্ত নবগোপাল ঘোষের বাড়িতে আসেন। ওই বাড়িতেই শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুজো উপলক্ষে বার্লিন থেকে তৈরি করিয়ে আনা একটি বিশেষ পোরসেলিন পটের প্রতিষ্ঠা করেন। রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী বলেন, "ওই বাড়িতে বসেই স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যানে বসে ঠাকুরের প্রণাম মন্ত্র রচনা করেন যা গোটা পৃথিবীতে ভক্তদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।"
নবগোপাল ঘোষের বাড়িতে আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে স্বামীজি তাঁর মাথার পাগড়ি খুলে তা তুলে দেন বাড়ির গৃহিণী নিস্তারিণী দেবীর হাতে। এর আগে ওই পাগড়ি পরিধান করে স্বামীজি শিকাগো ধর্ম মহাসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই ইতিহাসকে স্মরণীয় করে তুলতে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে ফরশোর রোডের ওপর একটি বিশেষ তোরণ তৈরি করলেন। ওই গঙ্গা ঘাটে স্বামীজীর পদার্পণের ১২৭ বছর পর এই উদ্যোগে খুশি রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা।
আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকার মানুষ ছাড়াও প্রায় ১৫০ জন সন্ন্যাসী অংশগ্রহণ করেন। এদিন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "বছর দুয়েক আগে স্বামীজীর পদার্পণের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই তোরণ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গত বছর শিলান্যাসের পর এবার উদ্বোধন করা হল। এই ঘাট মানুষের কাছে তীর্থক্ষেত্র। এর চারপাশটা যাতে সুন্দর করে সাজানো যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হবে।" অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ।
আরও পড়ুন: Saline Controversy: 'রিঙ্গার ল্যাকটেটে কোনও গলদ নেই,' স্যালাইন বিতর্কে মন্তব্য মমতার