সুনীত হালদার, হাওড়া: কার্তিক ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে ফেরার পথে টোটো উল্টে পুকুরে পড়ে মৃত্যু এক শিশুর (Child Death)। উৎসবের মরশুমে মর্মান্তিক ঘটনা হাওড়া ডোমজুড় বলুহাটি গয়েশপুরের বাঁশের পোল এলাকায় (Howrah Accident)।


গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কার্তিক ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে ফেরার পথেই রাস্তার ধারে পুকুরে টোটো উল্টে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে তিন শিশু সহ ৫ জন। চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বছর পাঁচের বাবাই মল্লিক নামের এক শিশু তলিয়ে যায় পুকুরে।রাতে বেশ কয়েক ঘন্টা পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে ও জাল ফেলে তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। এই ঘটনায় গায়েশপুরে শোকের ছায়া। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে টোটোটি পুকুরে পড়ে যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


গতবছর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা থেকে জলে পরে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনা ঘটেছিল। মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত। একই দিনে জলপাইগুড়ির মালবাজারেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বানে নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ।  উদ্ধারকাজের জন্য নামানো হয়েছিল এনডিআরএফকে (NDRF)।  


আরও পড়ুন, 'সবাই বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন' ', হুমকি দিয়ে উদয়ন বললেন..


তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক দুর্ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় তখন নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান। সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, স্থানীয় এলাকায় বৃষ্টি না হলেও সিকিম সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির জেরে একসঙ্গে অনেকটা জল এসে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বছর বছর ভাসানে গিয়ে কম মৃত্যু হয় না। তবে সেজন্য প্রশাসনের কম নজরদারি নেই। চলতি বছরেও কড়া নজরদারি ছিল টাকি, বাবুঘাট সহ সকল বিসর্জনের ঘাটগুলিতে।