সুনীত হালদার, হাওড়া: করোনায় (COVID-19) তালা পড়েছে স্কুলে। আসা বন্ধ হয়েছে পড়ুয়াদের। তাতে পোয়া বারো চোরেদের (Thieves)। হাওড়া (Howrah News) থেকে তেমনই ঘটনা সামনে এল। সেখানে রাতের অন্ধকারে, অঙ্গনওয়াড়ি কে (Anganwadi Centre) থেকে চাল, ডাল, সরষের তেল, বাসনপত্র এমনকি মশলাপাতিও চুরি করে নিয়ে গেল চোরেরা। পেটের তাগিদেই চোরের দল এমন কাজ করে থাকতে পারে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।


বুধবার রাতে হাওড়ার ডোমজুড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার ভাণ্ডারদহ লিচুতলায় ‘শিশু আলয়’ নামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হানা দেয় চরের দল। দলজার তালা ভেঙে তারা ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। ওই অঙ্গনওয়াডি় কেন্দ্র জানিয়েছে, দু’বস্তা চাল, দেড় বস্তা ডাল, সাত কিলো সরষের তেল মজুত ছিল সেখানে। মশলাপাতি এবং প্রচুর বাসনপত্র ছিল। তার একটিও পড়ে নেই।


রাতে কখন চুরি হয়েছে, তা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে উঠে এলাকার মানুষ দেখেন, অঙ্গনওয়াড়ির দরজা হাট করে খলা। তালা ভেঙে ঝুলছে। তাঁরাই ডোমজুড় পঞ্চায়েত অফিস এবং ডোমজুড় থানায় খবর দেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্কুলে এই ধরনের ঘটনা প্রথম সেখানে।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri Municipality Covid Initiative : এক ফোনেই অ্যাম্বুলেন্স থেকে অক্সিজেন, নাগরিক সুবিধার্থে কোভিড কন্ট্রোল রুম চালু জলপাইগুড়িতে


ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মী সুমিত্রা হাঁসদা বলেন, ‘‘চোরেরা দরজার তালা ভেঙে চাল, ডাল, তেল এবং নতুন বাসনপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।’’


ডোমজুড় পঞ্চায়েতের শিক্ষা বিভাগের সদস্য মোসলেম লস্কর বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে কাজ কমে গিয়েছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই খিদের জ্বালায়, কাজ না পেয়ে এই কাজ করে থাকবে চোরের দল।’’ ডোমজুড় থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এ দিন রাত পর্যন্ত কউ গ্রেফতার হননি।