সুনীত হালদার, হাওড়া: পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমেছে। তার কারণ, হাওড়ায় (ফদৈীোপ) বিভিন্ন জায়গায় 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ' কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়। এর জন্যই এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বালিটিকুরী নবজাগরণ সংঘের মাঠে হাওড়া সিটি পুলিশ ও শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন হাওড়ার সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীন কুমার ত্রিপাঠী । তিনি এদিন বলেন, ''গত বছর হাওড়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২২১ জনের। এবছর সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬৮ জন। আমরা চাই এই সংখ্যাটি ০-তে নামিয়ে আনতে।'' পুলিশের এই সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্যই দুর্ঘটনা কম হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ''কোথাও সিসি টিভি খারাপ বা সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ হয়ে থাকলে এবং তা পুলিশের নজরে এলে সেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিক করা হবে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন , ''হাওড়া আমতা রোডে যানজট হয়। কারণ, দিনের পর দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি সেখানে রাস্তা সরু। তবে প্রশাসন সেখানে পার্কিং ব্যবস্থা সঠিক করে  এই হাওড়া আমতা রোডে যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট।''


উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সময়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকেরই। সতর্ককবার্তা সত্ত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না বিপদ। দুরন্ত গতির বলি হওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। পথনাটিকার আয়োজন করে সরকারের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পথ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে গতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখার বার্তা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।


বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত রাজারহাট থানা এবং রাজারহাট ট্র্যাফিক গার্ডের যৌথ উদ্যোগে এর আগে রাজারহাট চৌমাথায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের ডিসি (নিউটাউন জোন) বিশপ সরকার, এসিপি মধুসূদন মুখোপাধ্যায়, রাজারহাট থানার আইসি জামালউদ্দিন মণ্ডল, রাজারহাটের ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর সাবির আব্বাস –সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা।


এ দিন সেখানে পথনাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরে হয় পথ দুর্ঘটনার ভয়াবহ বাস্তব চিত্র। তাতে দেখানো হয়, কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাস্তা পেরোচ্ছেন এক যুবক। তাঁর ঠিক পাশ ঘেঁষেই রাস্তা পার হচ্ছেন এক বৃদ্ধাও। সেই সময় উল্টো দিক থকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি মোটরসাইকেল। চালকের মাথায় হেলমেট নেই। কাছাকাছই পৌঁছে মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু মোটরসাইকেলটি সটান গিয়ে ধাক্কা মারে ওই বৃদ্ধাকে।