সুনীত হালদার, হাওড়া: জল খেতে গিয়ে স্কুলেই তড়িদাহত (Electrocuted) হল চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। হাওড়ার মিশ্রপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ঘটনায় স্কুলের গেটে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট (Short Circuit) থেকেই এই ঘটনা। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
হাওড়ায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা: জল তেষ্টা পেয়েছিল। আর তাই স্কুলের পরিশ্রুত জলের যন্ত্রে হাত দিতেই জোর ঝটকা। হাওড়ায় (Howrah) ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটল। আহত অবস্থায়, মিশ্রপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনায় স্কুলের গেটে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে আসে বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ ও স্থানীয় বাঁকড়া ৩ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান।
বিক্ষোভ অভিভাবকদের: স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, জল খেতে গিয়ে তড়িদাহত হয় চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। মেন সুইচ অফ করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২ জুলাই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। ঠিক ১০ দিন পর, ১২ জুলাই উলুবেড়িয়াতেই বিদ্যুতের ছেঁড়া তার পায়ে জড়িয়ে তাঁর মৃত্যু হয় এক মহিলার। এবার স্কুলেই তড়িদাহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারী অভিভাবক শেখ পাপ্পুর কথায়, “আমাদেরও ভয় লাগে। আমাদের বাচ্চারাও তো পড়ে।’’
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মিশ্রপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক শেখ আকবর আলি বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণ হয়। আজ সকালেও জল নিয়েছে অনেকে। কিছু হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। কী করে হল, দেখছি। এই ঘটনা প্রথম।’’ ইলেকট্রিশিয়ান কমল দাস জানাচ্ছেন, “এটা টেকনিক্যাল ফল্ট। রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।’’ হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, জখম ছাত্রী এখন স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: Kolkata News: ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের আশঙ্কা, ২১ জুলাই বন্ধ থাকছে শহরের বেসরকারি স্কুল