আবির দত্ত, পাঁচলা, হাওড়া: টানা অশান্তির পর অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে হাওড়ার (Howrah) পাঁচলা। ধীরে ধীরে আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেলৃ সেখানে। হাওড়ার পাঁচলা বাজারে দেখা গেল গুটিকতক ক্রেতাকে (Buyer)। সামান্য কিছু দোকানও খুলেছে। এখনও ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা চলছে। তার মধ্যেই নিয়ম মেনে দোকান-বাজার খোলার কথা বলেছে পুলিশ।


ভয় কাটিয়ে দোকানে:
এদিন দোকান খুলেছেন সেখানকার ব্যবসায়ী গোপাল দাস। তাঁর মুদিখানার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল আজিজুল মল্লিককে। হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কদিন কেমন কেটেছে? প্রশ্ন শুনেই যেন চোখেমুখে একঝলক আতঙ্কের ছায়া। তিনি বললেন, 'এই দোকান থেকেই মুদিখানার বাজার করি। এই কদিন বাড়ি থেকে বেরোতেই পারিনি। কী কাজ করব, কী খাব? আলুসেদ্ধ-ভাত খেয়ে কোনওরকমে কেটেছে। বাড়িতে কিচ্ছু নেই, চালটা না নিলেই নয়। তাই বেরিয়েছি।' একইরকম কথা বললেন ওই এলাকার আর এক বাসিন্দা রবিন প্রামাণিক। তিনি বললেন, 'কীভাবে চলবে। কোনওরকমে নুন-ভাত, আলু-ভাত খেয়ে কাটিয়েছি। বাড়িতে কিচ্ছু হয়নি।'   


রয়েছে আতঙ্ক:
দোকানদারের জানাচ্ছেন, ব্যবসা বন্ধ থাকায় তাঁদের খুবই ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত দোকানপাট (Shops) খুলে সব স্বাভাবিক হোক, এমনটাই চান তাঁরা। কিন্তু আতঙ্কের কারণেই অনেকে এখনও বাজারে আসছেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের তরফে আতঙ্কিত না হয়ে নিয়ম মেনে দোকান খুলতে বলা হচ্ছে।


রবিবার পাঁচলা বাজারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে বিডিও (BDO) অফিসের এক প্রতিনিধি দল। হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, ডোমজুড় ও সাঁকরাইল-সহ যেই সব এলাকায় অশান্তি হয়েছে, সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন: মাঝনদীতে হঠাৎ উল্টে গেল ট্রলার, উদ্ধার ১৫ মৎস্যজীবী