সুনীত হালদার, হাওড়া : বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হল, হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম। দেখভাল থেকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকেই। কোনও সামগ্রী খোয়া গেলে, তার দায় কে নেবে ? রেলের সিদ্ধান্তে এই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।


স্টিম ইঞ্জিন। পুরনো কোচ ! রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা। টয় ট্রেন থেকে দুষ্প্রাপ্য বিভিন্ন ছবি। এক কথায়, ভারতীয় রেলের বিবর্তনের সাক্ষী হাওড়ার স্টেশন লাগোয়া এই রেল মিউজিয়াম। এখানেই রাখা রয়েছে, প্রায় দেড় শতাব্দীর পুরনো ভারতীয় রেলের টুকরো টুকরো ইতিহাস!!


আয় বাড়াতে আগেই, সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য রেল মিউজিয়াম ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব রেল। শনিবার থেকে, গোটা রেল মিউজিয়ামকেই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হল। এর ফলে, পূর্ব রেলের বছরে ১৩ লক্ষ টাকা আয় হবে।


আগামী এক বছর এই মিউজিয়ামের দেখভাল এবং পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। রেল মিউজিয়ামের মধ্যে রেস্তোরাঁ চালানোর পাশাপাশি, অফিস বা জন্মদিনের পার্টি ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে।


রেলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর ফলে রেল মিউজিয়ামের ক্ষতি হতে পারে। কোনও সামগ্রী খোয়া গেলে, তার দায় কে নেবে ?


এদিকে পূর্ব রেল (হাওড়া ডিভিশন)-এর ডি আর এম মণীশ জৈন বলেন, বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারাই মিউজিয়ামের কাজকর্ম পরিচালনা করবে। ক্ষতির কোনও বিষয় নেই।


বেসরকারি হাতে রেল মিউজিয়াম তুলে দেওয়া নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতা ও সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, দিল্লিতে বেচারাম সরকার চলছে। সব লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করে দিতে চাইছে।


২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই মিউজিয়াম তৈরি করা হয়। ভারতীয় রেলের বিবর্তন জানতে এই মিউজিয়াম পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।