সুনীত হালদার, শ্যামপুর: প্রতিদিন জলের তোড়ে ভাঙছে নদীর পাড় (River Bank)। একটু একটু করে ভয়াল গঙ্গা (The Ganges) গিলে খাচ্ছে জনপদ। ভাঙনের গ্রাসে হাওড়ার বাসুদেবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর জল রুখতে দেওয়া বাঁধেও দেখা দিয়েছে চওড়া ফাটল। কটালের কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে মঙ্গলবার রাতে জলে তলিয়ে যায় বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার পাকা বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। বাঁধ মেরামতির দাবিতে আজ ঘণ্টা দেড়েক উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।


আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা


বারবার ভিটেহারা হতে হতে সব হারানোর আতঙ্ক বাসা বাঁধছে বাসিন্দাদের মনে। আবদুর রহমান কাজি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমরা আতঙ্কে আছি। সারারাত বাঁধের কাছে ছিলাম। যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে। আগে সারাই করা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রশাসন কান দিচ্ছে না।’


ভাঙনের সমস্যার কথা স্বীকার প্রশাসনের


ভাঙনের সমস্যার কথা স্বীকার করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে  প্রশাসন। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক শমীককুমার ঘোষ বলেছেন, ‘গঙ্গার ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পরে পাকাপাকি ব্যবস্থা হবে।’


ভাঙন পরিদর্শনে মন্ত্রী


হাওড়ার বাসুদেবপুরের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ভাঙনের মূল কারণ ড্রেজিং না হওয়া। এখান দিয়ে একাধিক জাহাজ যাতায়াত করে। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। যার ফলে এই ঘটনা। রাজ্যের তরফে আপাতত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।’


তৃণমূল-বিজেপি তরজা


রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি। যুব মোর্চার হাওড়া জেলা সভাপতি ওমপ্রকাশ সিংহের দাবি, ‘তাপ্পি দিয়ে বাঁধের কাজ করা হয়। সেইজন্যই এই অবস্থা।’


আরও পড়ুন বর্ষায় জল জমার সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ, প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার রুখতে টাস্কফোর্স গঠন হাওড়ায়


রাজনীতির তরজা নয়, দ্রুত ভাঙন সমস্যার সমাধান চাইছেন বাসিন্দারা।