সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রিয় পোষ্যর জন্য ভালবাসা, নানা ধরনের শখের কথা শোনা যায়। এবার এমনই এক অভিনব ঘটনা দেখা গেল হাওড়ার বাকসাড়া অঞ্চলে। একটি পরিবারের পোষ্য বিড়াল হারিয়ে গিয়েছে। তাকে খুঁজে দিতে পারলে ২,০০০ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এই পুরস্কার ঘোষণা করে পোস্টারও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কেউ বিড়ালটির খোঁজ দিতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট পরিবারটির সদস্যরা প্রিয় পোষ্যর অদর্শনে মনমরা হয়ে আছেন।


এই পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে নাটকীয়ভাবে তাঁদের বাড়িতে চলে আসে বিড়ালটি। বৃষ্টির রাতে বাড়ির বাইরে বিড়ালের কান্নার শব্দ শুনে দরজা খোলেন তাঁরা। দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে ঠকঠক করে কাঁপছে একটি বিড়াল। তাঁরা বিড়ালটিকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে গরম দুধ খাইয়ে, চাদর মুড়ি দিয়ে রাখেন। তারপর থেকেই তাঁদের বাড়িতে রয়ে যায় বিড়ালটি। বাড়ির সবারই আদরের হয়ে ওঠে সে। পরে এই বিড়ালটির চারটি ছানা হয়। তার মধ্যে থেকে একটিকে হঠাৎই আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।


ব্যবসায়ী তাপস রায় জানিয়েছেন,‘বিড়ালটি আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকে আর কোথাও যায়নি। আমার স্ত্রী ও মেয়ের অত্যন্ত প্রিয় বিড়ালটি। তার ছানারাও সবার প্রিয়। একটি বিড়ালছানা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় আমার স্ত্রী ও মেয়ে মনখারাপ করে আছে। সেই কারণেই বিড়ালছানাটির সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করে পোস্টার দিয়েছি।’


তাপসবাবুর স্ত্রী শুক্লা রায় জানিয়েছেন, ‘আমরা বিড়ালটির নাম দিয়েছিলাম ঘণ্টি। ও মাঝেমধ্যে বাড়ির বাইরে যেত, কিন্তু ঘুরে আবার ফিরে আসত। কিছুদিন আগে ওর চারটি ছানা হয়। তার মধ্যে একটি ছানার গায়ে সাদার উপর হলুদ ডোরাকাটা দাগ রয়েছে বলে আমার মেয়ে ওর নাম দেয় হলুদ ভাই। এই বিড়ালছানাটিই দিন পনেরো আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। অনেক খুঁজেও ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মেয়ে নবনীতা খুবই ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আমরা পোস্টার লাগিয়েছি এবং পুরস্কার ঘোষণা করেছি।’


নবনীতা জানিয়েছেন, ‘হলুদ ভাই বাড়ির সবার প্রিয়। রোজ ভোরবেলা ও আমার ঘুম ভাঙাত। ও কোথায় চলে গেল, ওর কী হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। সবাই মিলে খোঁজ করছি। ওর জন্য পুজোও দিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ওকে খুঁজে পেয়ে যাব।’