সুনীত হালদার, হাওড়া : আবারও প্রকাশ্যে গুলি (shootout) চলল হাওড়ায় (howrah)। আজ সন্ধ্যায় দাসনগর (Dasnagar) থানার অন্তর্গত ইছাপুর শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় এক ব্যাবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচেন দেশচন্দ্র দে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে হামলার ছবি
লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন দেশ কুমার দে নামে ওই ব্যাবসায়ী। তিনি জানান, কারখানা থেকে বেরিয়ে টিফিন আনতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী, বাইকে চেপে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন :
দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে
তদন্তে নেমেছে দাস নগর থানার পুলিশ ও সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
গত ২২ নভেম্বরও গুলি চলেছিল হাওড়ায়। নাজিরগঞ্জে খুন হন তৃণমূল নেতা ওয়াজুল খান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাড়ির কাছে বসেছিলেন বছর বাহান্নর তৃণমূল নেতা। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দলীয় নেতা খুনের নেপথ্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত আছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, এই ঘটনার দলের কোনও যোগ নেই। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। পুরভোটের মুখে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ। নিহত তৃণমূল নেতা প্রোমোটিংয়ের পাশাপাশি জুতোর ব্যবসাও ছিল। তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ। রাজনৈতিক নাকি অন্য কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।