হাওড়া: আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের এসপি অফিস (sp ofice) ঘেরাও কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র পাঁচলা। মিছিল রোখার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে আহন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাল পুলিশ।ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। অগ্নিসংযোগের চেষ্টা। পরে হাওড়া গ্রামীণের এসপি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


এদিকে, আনিসকাণ্ডে  (Anish Murder Case) সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে হুমকি-ফোনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার। আজ আমতা থানায় (Amta Police Statiob) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনিসের দাদা সাবির খান। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১টা ৪ মিনিটে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। হুমকি দেওয়া হয়, সিবিআই তদন্ত চাইলে সবাইকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।


আনিসের পরিবারের দাবি, এরপর বৃহস্পতিবার থানায় বসে থাকাকালীন ক্ষমা চেয়ে ফোন আসে। বলা হয়, ভুল করে ফোন করে ফেলেছি। দুটি নম্বরই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল অর্থাৎ ভিওআইপি-র মাধ্যমে ফোন করা হয়েছিল। 


পাশাপাশি ময়নাতদন্ত নিয়ে জোরাজুরি করলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন আনিস খানের দাদা। এদিকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তোলার ব্যাপারে আনিসের পরিবারের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তদন্তকারী দলের। জানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং সিপিআই নেত্রী ও রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য শ্যামাশ্রী দাস। এদিন আনিসের বাড়িতে যান তাঁরা।


হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ তুলতে আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটের সদস্যরা। আনিসের দেহ তোলার জন্য অনুমতি নিতে পুলিশ আনিসের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করতেই গ্রামবাসীরা বাধা দেন। কার্যত পুলিশকে ধাওয়া করে গ্রামছাড়া করেন তাঁরা। শেষপযন্ত ফিরে আসতে হয় বাহিনীকে।