কলকাতা: আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে এবার এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি এসএফআইয়ের। ব্যারিকেড করে মিছিল রোখার চেষ্টায় পুলিশ। আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে অনেক দিন ধরেই পথে নেমেছে ছাত্র সংগঠন। এর আগে  আনিস মৃত্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধর্মতলায় যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। গ্রেফতার বেশ কয়েকজন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজও কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। বেশ কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করা হয়।


ময়নাতদন্ত নিয়ে জোরাজুরি করলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাব। হুঁশিয়ারি দিলেন আনিস খানের (Anis Khan) দাদা। এ দিকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য দেহ তোলার ব্যাপারে আনিসের পরিবারের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তদন্তকারী দলের। জানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং সিপিআই নেত্রী ও রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য শ্যামাশ্রী দাস। এদিন আনিসের বাড়িতে যান তাঁরা।


পাশাপাশি, আনিসকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে হুমকি-ফোনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার। আজ আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনিসের দাদা সাবির খান। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১টা ৪ মিনিটে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। হুমকি দেওয়া হয়, সিবিআই তদন্ত চাইলে সবাইকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আনিসের পরিবারের দাবি, এরপর বৃহস্পতিবার থানায় বসে থাকাকালীন ক্ষমা চেয়ে ফোন আসে। বলা হয়, ভুল করে ফোন করে ফেলেছি। দুটি নম্বরই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল অর্থাৎ ভিওআইপি-র মাধ্যমে ফোন করা হয়েছিল। 


হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ তুলতে আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটের সদস্যরা। আনিসের দেহ তোলার জন্য অনুমতি নিতে পুলিশ আনিসের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করতেই গ্রামবাসীরা বাধা দেন। কার্যত পুলিশকে ধাওয়া করে গ্রামছাড়া করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে হয় বাহিনীকে।